ব্যাংক অব জাপানের অতিস্বল্প সুদহারের মুদ্রানীতির কারণে ব্যাংকগুলোর সম্মিলিত নিট মুনাফা এক বছর আগের তুলনায় ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমে ৫৭৫ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক তার ২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুদহার প্রায় শূন্য শতাংশ এবং স্বল্পমেয়াদি সুদহার মাইনাস শূন্য দশমিক ১ শতাংশ বজায় রাখছে। মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্ত সংস্থাগুলোকে জামানত ছাড়াই ঋণ দিয়ে সরকার তাদের সহায়তা করছে। সরকারের দেয়া আর্থিক সহায়তাগুলোর জন্য দেশটিতে অনন্য একটি রেকর্ডও হয়েছে। ২০২০ সালে জাপানে করপোরেট দেউলিয়ার সংখ্যা ৩১ বছরের সর্বনিম্নে নেমে গেছে।
জাপানের একটি প্রধান আঞ্চলিক ব্যাংকের একজন নির্বাহী বলেন, কিছুটা প্রত্যাশা করা হলেও খারাপ ঋণ নিষ্পত্তি ব্যয় প্রায়ই ব্যয় করা হয়নি।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে জাপানের তিনটি আঞ্চলিক ব্যাংক পরিচালনা করা ফকুওকা ফাইন্যান্সিয়াল গ্রুপ ইনক এবং উত্তরাঞ্চলীয় জাপানের ব্যাংক অব কোচিসহ ৭৮টি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৮টি প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা কমে গেছে। নভেল করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের পর তাদের কার্যক্রম সংকুচিত হয়ে আসায় মুনাফা কমেছে বলে জানানো হয়েছে। উত্তর-পূর্ব জাপানের দুটি আঞ্চলিক ব্যাংক পরিচালনা করা জিমোটো হোল্ডিংস ইনক এবং ফুকুশিমা ব্যাংক দুর্বল বিনিয়োগের কারণে লোকসানের মুখে পড়েছে।
এদিকে সুকুবা ব্যাংক ও ফুকুই ব্যাংকের মতো ৩৬টি আঞ্চলিক ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানের নিট মুনাফা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মিশিনোকু ব্যাংক ও শিমনে ব্যাংক আবারো বড় ধরনের লোকসানে পড়েছে। আগামী মার্চ পর্যন্ত চলতি অর্থবছরে ৭৮টি ব্যাংকের সম্মিলিত নিট মুনাফা ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ৬০০ কোটি ডলারে দাঁড়াবে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ব্যাংকগুলোর মধ্যে ৪৯টি জানিয়েছে, তাদের নিট মুনাফা কমে যাবে। এছাড়া দুটি ব্যাংক জানিয়েছে, তারা লোকসানের মধ্যে পড়বে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সর্বশেষ ঝড় মোকাবেলায় অর্থনৈতিক বিধ্বস্ততার মধ্যেও চলমান জরুরি অবস্থা আরো একমাস দীর্ঘায়িত এবং বড় মেট্রো অঞ্চলগুলোতে প্রসারিত করেছে জাপান। নতুন নির্দেশনার আওতায় দ্রুত বন্ধ না করলে বার ও রেস্তোরাঁগুলোকে জরিমানার মুখে পড়তে হচ্ছে। চলমান এ নিষেধাজ্ঞা আগামী ৭ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।