শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি তাদের খবরে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে নেইপিদোতে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে অবস্থান নেওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনীর ছোঁড়া গুলিতে মারাত্মকভাবে আহত হন ২০ বছর বয়সী মায়া।
অভ্যুত্থানের পর এই প্রথম কোন নাগরিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে মারা গেলেন। তার মাথায় গুলি লাগায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এ ঘটনায় গভীর দুঃখপ্রকাশ করে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তার ভাই ইয়ে হুতুত অং বলেন, কিছুই বলার নেই।
তাজা গুলিতেই গুরুতর আহত হয়েছিলেন মায়া, অভিযোগ করে আসছিল মানবাধিকার সংস্থাগুলো। কিন্তু মানবাধিকার সংস্থাগুলোর অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, রাবার বুলেটের আঘাতে তিনি আহত হন।
এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। এবার তার মৃত্যুর ঘটনায় এখন আরও চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে জান্তা সরকার।
এদিকে সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা আসছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর উপর। যুক্তরাষ্ট্রের পর এবার মিয়ানমারের বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য ও কানাডা।
বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে নেতৃত্বদানকারী তিন জেনারেলের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ করছে ব্রিটেন। অন্যদিকে, কানাডা ৯ জেনারেলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেন, যুক্তরাজ্যের পাশাপাশি তাদের মিত্র দেশগুলোরও উচিৎ মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং দেশটির নাগরিকদের সুবিচার নিশ্চিত করা।
সূত্র : বিবিসি, দি গার্ডিয়ান