বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত ইউপি সদস্যের নাম সমর বিজয়া চাকমা (৩৮)। তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) সমর্থিত যুব সমিতির নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শী উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নুরনবী সরকার জানান, ইউপি সদস্য সমর বিজয় চাকমা আমার সাথে প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলছিলেন। এ সময় দু’তিনজন দরজার বাইরে উঁকি দিচ্ছিল। একজন রুমে প্রবেশ করে সমর বিজয়ের বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে এবং দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ ভবনের দ্বিতীয় তলায় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় অবস্থিত। এই কার্যালয়ের তিন রুম পাশেই একটি কক্ষে অফিস করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার শরিফুল ইসলাম।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরিফুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের বিষয়ে কথা বলতেই ইউপি সদস্য কার্যালয়ে এসেছিলেন। কিন্তু দুইজন মোটরসাইকেল আরোহী এসে তাকে অফিসেই গুলি করে হত্যা করে চলে যায়।
এদিকে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান সুদর্শন চাকমা নিহত সমর বিজয় চাকমাকে তাদের সহযোগী সংগঠন যুব সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা দাবি করে এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমা সমর্থিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র ক্যাডারদের দায়ী করেছেন। তিনি হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও বিচারের দাবিও জানিয়েছেন।
তবে এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সন্তু লারমা সমর্থিত জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতার সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসি এবং ইউপি সদস্যকে গুলিবিদ্ধ ও মৃত অবসস্থায় চেয়ারেই পড়ে থাকতে দেখি।