বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে রিজার্ভের এ নতুন তথ্য জানানো হয়েছে।
তথ্য মতে, চলতি মাসের ২৩ দিনে রেমিটেন্স এসেছে এক দশমিক দুই পাঁচ বিলিয়ন ডলার। গত কয়েক মাসের প্রতিমাসে যার পরিমাণ ছিল ২ বিলিয়ন ডলার।
এদিকে বর্তমানে বাংলাদেশী মুদ্রায় রিজার্ভের পরিমাণ প্রায় ৩ লাখ ৭৪ হাজার কোটি টাকা। বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে দেশের প্রায় এক বছরের আমদানি ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব।
এর আগে প্রথম রিজার্ভের পরিমাণ ৪ হাজার ৩০০ কোটি (৪৩ বিলিয়ন) ডলার ছাড়ায় গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর। এর পর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) আমদানি দায় পরিশোধের ফলে রিজার্ভ কিছুটা কমে গেলেও জানুয়ারি থেকে রিজার্ভ আবার বাড়তে শুরু করে।
করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে বড় ধাক্কা খায় দেশের আমদানি খাত। ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমদানি কমেছিল ৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধে (জুলাই-ডিসেম্বর) আমদানি ৬ দশমিক ৮০ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে ব্যবসা, ভ্রমণ, চিকিত্সাসহ বিভিন্ন কারণে বাংলাদেশীদের বিদেশ যাত্রায় স্থবিরতা বিরাজ করছে।
এ পরিস্থিতির মধ্যেই দেশের প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১ হাজার ৪৯০ কোটি ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ বেশি। চলতি ফেব্রুয়ারিতেও আগের চেয়ে বেশি রেমিট্যান্স আসছে। ১-২৩ ফেব্রুয়ারি দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৯ কোটি ডলার।