মার্কিন নাগরিকদের আরও বেশি কাজের সুযোগ সৃষ্টি করার অজুহাতে গত বছর ট্রাম্প এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন বৈধ অভিবাসনের বিষয়ে বিদ্যমান বাঁধাও দূর করেছেন। অভিবাসন নিয়ে এই বাঁধাও তৈরি করেছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
দায়িত্ব নেওয়ার পর মুসলিমদের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞাসহ ট্রাম্পের বেশ কয়েকটি অভিবাসন নীতি বদলে দিয়েছেন জো বাইডেন। সামনে আরও কয়েকটিতে পরিবর্তন আনবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
বেশ কয়েকটি পদ্ধতিতে অন্য দেশের নাগরিকদের এই গ্রিনকার্ড দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। যেমন- পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে, চাকরির মাধ্যমে, বিনিয়োগের মাধ্যমে, শরণার্থী অথবা আশ্রয় প্রার্থনার মাধ্যমে। এ ছাড়া আরও কিছু মাধ্যম রয়েছে। শুধু পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমেই আটটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে গ্রিনকার্ড পাওয়া যায়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ১০ লাখের মতো গ্রিনকার্ড অনুমোদন করা হয়। এর মধ্যে ৭০ শতাংশ পান এমন অভিবাসীরা, যাদের আত্মীয়-স্বজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। আর পেশা সংশ্লিষ্ট গ্রিনকার্ডের ৮০ শতাংশ এমন অভিবাসীদের দেওয়া হয়, যারা আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
একজন গ্রিনকার্ডধারী অভিবাসী যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস এবং কাজ করার অনুমতি পান। পরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্বের জন্যও আবেদন করার সুযোগ পান। এই শর্ত যাদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য তারা আবার আগের মতো গ্রিনকার্ডের আবেদন করতে পারবেন।