ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, বাজারে ভয়াবহ পতনের একটি সপ্তাহ পার হলেও আম্বানির রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (আরআইএল) ছিল অধরা। আরআইএল এর পক্ষ থেকে বলা হয়, তাদের তেল থেকে রাসায়নিকের প্রতিটি ইউনিট ছিল এককভাবে ঊর্ধ্বমুখী।
ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, আম্বানির সম্পদের পরিমান বর্তমানে ৮০ বিলিয়ন ডলার। যাকে তিনি পেছনে ফেলে শীর্ষস্থান দখল করেছেন চীনের সেই ধনকুবের ঝং শানশানের সম্পদের পরিমান ৭৬ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। চলতি সপ্তাহে তার বোতলজাত পানির কোম্পানি ২২ শতাংশ ঊর্ধ্বমুখী রেকর্ড করে। তবে গত সপ্তাহে শীর্ষ অবস্থান থেকে তার ২২ বিলিয়ন ডলারের অধিক অবনমন হয়।
গত দুই বছর আলিবাবা গ্রুপ হোল্ডিংস লিমিটেডের জ্যাকমাকে টপকে শীর্ষ ধনীর স্থান দখল করে রাখেন। এরপর গত বছরের ডিসেম্বরে জং শানশানের কাছে তিনি শীর্ষ পদ হারান। ঝং এশিয়ার শীর্ষ ধনীর পদ দখলের পাশাপাশি ২০২১ সালের প্রথমদিকে বিশ্বের ষষ্ঠ ধনী ব্যক্তিতে পরিণত হন। এমনকি ওয়ারেন বাফেটকেও পেছনে ফেলেন তিনি।
তবে চলতি সপ্তাহে চীন এবং হংকংয়ের শেয়ারবাজার বিশ্বের অন্যতম পতনের তালিকায় পড়ে। এতে ঝংয়ের কোম্পানি নংফু চলতি বছরের মুনাফা হারিয়ে ফেলে। আবার তার আকেটি কোম্পানি ওয়ানতাইও ডুবে যায় লসের তালিকায়। যেখানে আম্বানির প্রায় প্রতিটি ব্যবসায়ী ইউনিট মুনাফা করে।
সম্প্রতি শুধু যে আম্বানি এবং ঝং ধনীর তালিকায় অদলবদল হয়েছেন তাই নয়। টেসলার প্রধান ইলন মাস্ক জানুয়ারির শুরুর দিকে বিশ্বের সেরা ধনীর তালিকায় এক নম্বরে উঠে আসেন। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসকে পেছনে ফেলে প্রথম স্থানে উঠে আসেন তিনি।