চলুন জেনে নিই আদা জলের উপকারিতা কি কি-
হজমশক্তি বাড়ায়: বদহজমে কেবল আদা নয়, আদা দিয়ে ফোটানো জলও খুব উপকারী। যে কোনও কাজ ভাল ভাবে সম্পন্ন করতে গেলে আদা-জলের যে প্রয়োগ বাংলা প্রবাদে রয়ছে, তা অনেকটাই এই কারণে। আদা-জল খাবারকে সহজপাচ্য করে হজমশক্তি বাড়িয়ে শরীরকে সুস্থ করে তোলে। সামান্য অনিয়ম হলে তার সঙ্গে লড়ার শক্তি দেয়। ঠান্ডা লাগার দাওয়াই থেকে হজম সমস্যাকে কব্জা করা— আদার নানা ব্যবহারিক প্রয়োগ বাঙালির ঘরোয়া উপায়ে রয়েছে। তবে এই আদার সঙ্গে জল যোগ করলে কী কী উপকার পেতে পারেন রইল তারই হদিশ।
পেশীতে ব্যথা:জিম সেরে এসে বা শরীরচর্চা, অতিরিক্ত শ্রমের পর পেশীতে টান বা ব্যথা হলে আদা ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে খান। দিন কয়েক খাওয়ার পর পেশীতে ব্যথার এই প্রবণতা ধীরে ধীরে কমতে থাকবে।
কাশিতে উপশম: ঠান্ডা লেগে গলা ভেঙে গেলে, কাশিতে গলা খুশখুশ করলে আদা কুঁচিয়ে জলে ফেলে দিন। ঈষদুষ্ণ সেই জল পান করুন দিনে দু’-তিন বার। ঠান্ডাজনিত প্রদাহ কমিয়ে গলাকে আরাম দিতে সিদ্ধহস্ত আদা-জল।
মেটাবলিজম বাড়াতে: শরীরের মেটাবলিজম বাড়াতে আদা-জল গ্রিন টি-র মতোই কার্যকর। সারা দিন এনার্জি ধরে রাখতে সকালে চা না খেয়ে গরম জলে আদা ও মধু মিশিয়ে খান। উপকার টের পাবেন। শরীরের বাড়তি মেদ ঝরাতেও আদার ভূমিকা আছে বইকি। জলে আদা, মধু ও লেবু মিশিয়ে পান করতে পারেন। কিংবা আগের দিন রাতে জিরে ও আদার কুঁচি জলে মিশিয়ে রেখে, পরের দিন সকালে সেই জল ছেঁকে ফুটিয়ে খান। মেদ ঝরে শরীর টোন্ড হবে তাড়াতাড়ি।
অ্যালঝাইমার্সের সম্ভাবনা কমায়: অ্যালঝাইমার্স এক ধরনের রোগ যা সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেমকে আঘাত করে। গবেষণায় প্রকাশ পেয়েছে, আদা মস্তিষ্কের কোষকে সজীব রাখতে সাহায্য করে। এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টস এবং অন্যান্য শক্তিশালী কমপাউন্ড মস্তিষ্কে ইনফ্ল্যামেটরি রেসপন্সের সঙ্গে লড়তে সাহায্য করে। ফলে দীর্ঘ দিন ধরে ব্রেন সতেজ থাকে। স্মৃতিশক্তিও ধরে রাখতে সাহায্য করে।