সিরিজটি বাংলাদেশ এক ম্যাচ হাতে রেখেই জিতে নিয়েছে। তারপরও মাশরাফির এ ঘোষণা নতুন মাত্রা যোগ করলো শেষ ওয়ানডেতে। দেশের সফলতম অধিনায়কের শেষ ম্যাচ জয়ে রাঙাতে মাঠে নামবেন ক্রিকেটাররা। পাকিস্তানে বাংলাদেশ একমাত্র ওয়ানডে খেলবে ১ এপ্রিল। এর আগেই নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করতে হবে।
পরের অধিনায়ক কে হবেন, সেটা নিয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘এটা তো আমার হাতে না। কোনও খেলোয়াড় এই সিদ্ধান্ত নেবে না, বোর্ড নেবে। আমি যখন মুশফিকের কাছ থেকে দায়িত্ব নিয়েছিলাম, তখন তো সে এই সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলে যে সিনিয়র খেলোয়াড়রা আছে, তারা সবাই অধিনায়কত্ব করার সামর্থ্য রাখে। তাদের সবার সঙ্গে আলোচনা করে যাকে ভালো মনে হয়, তাকে অধিনায়ক নির্বাচিত করতে পারে বিসিবি। এটা পুরোপুরি বোর্ডের ব্যাপার।’
মাশরাফি অধিনায়কত্ব ছাড়লে পাকিস্তানে কার নেতৃত্বে বাংলাদেশ একমাত্র ওয়ানডে খেলবে সেটা এখনও অজানা। তবে ডানহাতি পেসারকে রেখেই বুধবার দল ঘোষণা করেছিল বিসিবি। অধিনায়ক না থাকলেও সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত ৩৬ বছর বয়সী এ তারকা, ‘আমি এখন চ্যালেঞ্জ নিতে চাই সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবে। সিনিয়র যারা আছে তাদের সহযোগিতা করতে চাই।’
টিম ম্যানেজমেন্টের সবাইকে ধন্যবাদ জানালেন মাশরাফি, ‘চন্ডিকা হাথুরুসিংহে থেকে শুরু করে খালেদ মাহমুদ এবং এখনকার কোচ রাসেল ডমিঙ্গো, সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তাদের সহযোগিতা ছাড়া কিছুই সম্ভব হতো না।’
মাশরাফির নেতৃত্বে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ফাইনাল খেলেছিল বাংলাদেশ। তার দুই বছর আগে প্রথমবার ওয়ানডে বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠে তার দল। ২০১৪ সালের নভেম্বরে তৃতীয়বার বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব পান মাশরাফি। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ ওয়ানডে খেলেছে ৮৭টি, জয় ৪৯ ম্যাচে আর হার ৩৬টি। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে ২৮ ম্যাচে ১০টি জিতেছেন মাশরাফি। একটি টেস্টেই নেতৃত্ব দেন তিনি, ২০০৯ সালে কিংসটনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। ওই ম্যাচটি জিতেছিল বাংলাদেশ।