বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রত্যাহার চেয়ে ‘সিটিও ফোরামে’র চিঠি

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা প্রত্যাহার চেয়ে  ‘সিটিও ফোরামে’র চিঠি
দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাতে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশকে। এই সংগঠনটির সঙ্গে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের তথ্যপ্রযুক্তি শাখায় কর্মরত সদস্যদের সম্পর্ক ত্যাগ করে তা বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট শাখায় জানানোর জন্য নির্দেশনা দিয়ে গত ১ মার্চ দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের চিঠি দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই নির্দেশনা প্রত্যাহারের জন্য সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তপন কান্তি সরকার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে বুধবার (৩ মার্চ) চিঠি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্ট ওই চিঠি গ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে।

চিঠিতে তপন কান্তি সরকার উল্লেখ করেন, ‘আমি সর্বদাই দেশের সরকারের বিভিন্ন দায়িত্বশীল দফতরের বিজ্ঞপ্তি ও পত্রিকার রেফারেন্সে তথ্য উপস্থাপন করে থাকি। যদি আমার সেসব ব্যক্তিগত বক্তব্য কখনও ভুলভাবে উপস্থপিত হয়, বা ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করে, তবে তা কখনোই প্রতিষ্ঠান সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের ওপর বর্তায় না ‘

চিঠিতে তপন কান্তি সরকার আরও উল্লেখ করেন, ‘উক্ত বিষয়ে আপনার (গভর্নর) দিক নির্দেশনার জন্য আমি ও সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ অধিরভাবে অপেক্ষা করছি। আমি বিশ্বাস করি,আপনি সদয় বিবেচনা করে বৃহত্তর স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের উক্ত চিঠি প্রত্যাহারের নির্দেশনা দেবেন।’

বুধবার রাতে সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের ওয়েব সাইটে গিয়ে দেখা গেছে, নির্বাহী কমিটিতে সভাপতি হিসেবে রয়েছেন তপন কান্তি সরকার। সহ-সভাপতি হিসেবে রয়েছেন ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমের (ডট) মহাপরিচালক মোহসিনুল আলম ও আইসিটি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ডা. বিকর্ণ কুমার ঘোষ। এছাড়া কমিটির বিভিন্ন পদে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক, বেসরকারি ব্যাংক ও মোবাইল ফোন অপারেটরের প্রযুক্তি বিভাগে কর্মরতরা রয়েছেন।

দেশের একজন প্রযুক্তি বিশষজ্ঞ প্রশ্ন তুলেছেন, এরকম একটি সংগঠনের নির্বাহী কমিটিতে সরকারের অতিরিক্ত সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তারা কিভাবে থাকেন। তারা কি নীতিগতভাবে এই পদে থাকতে পারেন? সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সভাপতি হিসেবে যিনি আছেন, তিনি কি সচিব পদ মর্যাদার? এরকম অনেক প্রশ্ন রেখছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, গত ১ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট বিভাগের সিস্টেম অ্যানালিস্ট (যুগ্ম পরিচালক) এস এম তোফায়েল আহমাদের সই করা এক চিঠিতে দেশের সব তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক খাতের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের বলা হয়— আপনার প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদেরকে ‘সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ’ সংগঠন থেকে সব ধরনের সংশ্লিষ্টতা পরিহার করতে হবে। এছাড়া সিটিও ফোরাম বাংলাদেশ সংগঠনের সঙ্গে সব ধরনের সংশ্লিষ্টতা পরিহার করে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের তালিকা এবং আগামী ১৩ মার্চের মধ্যে আপনার প্রতিষ্ঠানের কোনও কর্মকর্তা সিটিও ফোরাম বাংলাদেশের সদস্য পদ বা কোনও কমিটির সদস্য হিসেবে সংশ্লিষ্টতা নেই মর্মে প্রত্যয়নসহ ইনফরমেশন সিস্টেমস ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট বিভাগে জানানোর অনুরোধ জানানো হলো।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

বিদেশি ডেবিট কার্ডে অর্থ তোলা বন্ধ করল ইবিএল
এসবিএসি ব্যাংকের নতুন এএমডি নূরুল আজীম
বছরজুড়ে আলোচনায় খেলাপি ঋণ, সুদহার ও বিনিময়হার
বিকাশের প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা মাহফুজ মারা গেছেন
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পর্ষদের ৩ কমিটি গঠন
ব্যাংকে চাকরির আবেদনের বয়সসীমা শিথিল
মাসিক সঞ্চয় হিসাব খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে
ফের এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন
অফিসার পদে ৭৮৭ জনকে নিয়োগ দেবে সরকারি ৫ ব্যাংক
ন্যাশনাল ব্যাংকের নতুন পরিচালক হলেন যারা