গত ডিসেম্বর প্রান্তিকে বেশি সবুজ অর্থায়ন করা ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে দেখা যায়, গত অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংকগুলো মোট তিন হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা সবুজ অর্থায়ন করেছে। এর মধ্যে এইচএসবিসি ব্যাংকটি এ খাতে ৭৬৪ কোটি টাকার ঋণ দিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অগ্রণী ব্যাংক বিতরণ করেছে ৬০৫ কোটি টাকা। তৃতীয় অবস্থানে থাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ দিয়েছে ৫৯৬ কোটি টাকা।
পর্যায়ক্রমে এক্সিম ব্যাংক ৫০২ কোটি টাকা, ব্র্যাক ব্যাংক ৪২২ কোটি, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক ১৪৩ কোটি, ব্যাংক এশিয়া ১২২ কোটি, আইএফআইসি ১০৮ কোটি, এনআরবি ব্যাংক ৬৬ কোটি, সিটি ব্যাংক এনএ ৪৬ কোটি, মার্কেন্টাইল ১৯ কোটি, বেসিক ১৩ কোটি এবং স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া ছয় কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রেখে গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান কিংবা বিদ্যমান কারখানাকে পরিবেশবান্ধবে রূপান্তরের বিপরীতে ঋণ বিতরণকে সবুজ অর্থায়ন বলে। এ উপায়ে প্রতিষ্ঠিত কারখানায় বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে। বিশেষ করে সৌরশক্তি, বায়ো গ্যাস ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ব্যবস্থা রাখতে হয়। পরিবেশবান্ধব ইট উৎপাদন, পরিবেশবান্ধব স্থাপনা নির্মাণ, জ্বালানি সাশ্রয়ী প্রযুক্তি, বিকল্প জ্বালানি, ইটিপি স্থাপন, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ ও সার উৎপাদন, পণ্যের পুনঃব্যবহার উপযোগী করা, কারখানার কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত, কেঁচো কম্পোস্ট সার ও জ্বালানি সাশ্রয়ী পাম তেল উৎপাদনে অর্থায়নসহ এ জাতীয় খাতে বিনিয়োগ সবুজ অর্থায়ন হিসেবে বিবেচিত। বাংলাদেশ ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক নির্দেশনার মাধ্যমে চলতি বছর থেকে ব্যাংকগুলোর মোট মেয়াদি ঋণের ৫ শতাংশ সবুজ অর্থায়ন করতে বলা হয়েছে।
গ্রিন ব্যাংকিং সংক্রান্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, পরিবেশবান্ধব খাতে ব্যাংকগুলোর সবুজ অর্থায়ন বাড়লেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কমেছে। গত অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে ব্যাংকগুলো মোট তিন হাজার ৮৪৭ কোটি টাকা সবুজ অর্থায়ন করে, যার মেয়াদি খাতে বিতরণ করা মোট ঋণের ৭ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো বিতরণ করেছে ৫৫ কোটি টাকা। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট মেয়াদি ঋণের যা মাত্র ১ দশমিক ৫৫ শতাংশ।