রোববার (৭ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ডয়চে ভেলে। কীভাবে ওই শরণার্থী শিবিরে আগুন লাগল, তা এখনো জানা যায়নি। হুতি বিদ্রোহীরা ওই শরণার্থী শিবির চালায়। শিবিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, তাও স্পষ্ট নয়।
ঘটনার পরেই টুইট করেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংগঠনের ডিরেক্টর কারমেলা। তিনি জানিয়েছেন, আকস্মিক খবরে তিনি মর্মাহত। শরণার্থী এবং শিবিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদেরও মৃত্যু হয়েছে, বহু মানুষ আহত। জাতিসংঘ সকলকে সাহায্য করার জন্য প্রস্তুত। সরকারি ভাবে আটজনের মৃত্যুর কথা জানানো হলেও, বেসরকারি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা অনেক বেশি। কারমেলার টুইটেও সে কথা বলা হয়েছে।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম আগুন লাগে যেখানে, সেখানে প্রায় ৭০০ শরণার্থী ছিলেন। তারা সকলেই সীমান্ত পেরিয়ে সৌদি আরবে কাজের খোঁজে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ইয়েমেন প্রশাসন তাদের গ্রেফতার করে শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়েছিল। হর্ন অফ আফ্রিকা পেরিয়ে হাজার হাজার মানুষ সৌদি এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাজে সন্ধানে যান। প্রচারক থেকে শুরু করে অফিসের হাউসকিপার ইত্যাদি নানা ধরনের কাজ খোঁজ করেন তারা। কিন্তু সীমান্ত পেরনোর সময় বহু মানুষ ধরা পড়েন। তাদের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। ইয়েমেনের শিবিরটিও তেমনই ছিল।