জানা গেছে, সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ইউরোপীয় ইউনিয়ন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেসব কোম্পানি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য রাজস্ব তৈরি করে অথবা আর্থিক সহায়তা প্রদান করে সেসব কোম্পানিকে টার্গেট করে এই নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হবে। জোটের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা এই উদ্যোগের বিষয়ে আগামী ২২ মার্চ সিদ্ধান্ত দেবেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সাল থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। একইসঙ্গে সেনাবাহিনীর কিছু সিনিয়র কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিকরা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, মিয়ানমারের সামরিক সংস্থার অংশবিশেষ, মিয়ানমার ইকোনোমিক হোল্ডিংস লিমিটেড এবং মিয়ানমার ইকোনোমিক করপোরেশন নিষেধাজ্ঞার জন্য টার্গেট করা হবে। নিষেধাজ্ঞার ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশের কোনো বিনিয়োগকারী এসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করতে পারবে না এবং তাদের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন না।
মিয়ানমারের সেনাবাহিনী খনিজ সম্পদ, খাদ্য ও পানীয় উৎপাদন, টেলিকম এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থার মাধ্যমে অর্থনীতি বাড়িয়েছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালুর পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বিদেশি কোম্পানিদের সঙ্গে ব্যবসায় যুক্ত হয়। দেশের শীর্ষ করদাতাদের মধ্যে সেনাবাহিনীও রয়েছে।
জাতিসংঘের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন ২০১৯ সালে মিয়ানমারের সেনা পরিচালিত দুইটি কোম্পানি এবং এর সহায়কদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেন। কারণ হিসেবে বলা হয়, এই কোম্পানি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর জন্য অতিরিক্ত অর্থের উৎস এবং এই অর্থ ব্যবহার করে তারা মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে পারে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পরিকল্পনার বিষয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর কাছে সংবাদ এজেন্সি মন্তব্য জানতে চাইলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।