তবে বয়স হচ্ছে, ক্ষমতা পরবর্তী প্রজন্মের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। সেই প্রস্তুতিও তিনি নিতে শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। তবে এর মধ্যে আবার আকাশে নতুন মেঘের ঘনঘটা। কেবল টেলিভিশনের বাজার দ্রুত পড়ছে। চলমান এক মামলার বিরুদ্ধে গেলে বড় ধরনের ঝাঁকুনি খাবে তাঁর সাম্রাজ্য। প্রতিদ্বন্দ্বী নেটওয়ার্ক এইচবিওর সঙ্গে বিবাদ, উত্তরাধিকার নিয়ে ঝামেলা—এসব তো আছেই। ফলে এই বিশাল সাম্রাজ্য তাঁর অনুপস্থিতিতে এক না–ও থাকতে পারে বলে আশঙ্কা।
সবচেয়ে বড় কথা হলো, মারডকের সব সন্তান তাঁর মতো করে ভাবেন, ওয়াকিবহাল মহল তেমনটা মনে করেন না। দ্য ইকোনমিস্ট–এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ক্ষমতা হস্তান্তর হলেই ভাঙনপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। চার সন্তানের মধ্যে কেই–বা সেই সিদ্ধান্ত নেবে।
মারডকের ছেলে লাকলান ইতিমধ্যে ফক্স টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী এবং নিউজ করপোরেশনের সহ-চেয়ারম্যান। ফক্স টেলিভিশনে তিনি বিজ্ঞাপনভিত্তিক স্ট্রিমিং সার্ভিস, ক্রীড়াবিষয়ক বেটিং ও ক্রেডিট স্কোরিং এজেন্সি চালু করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এগুলোর কোনোটি সংবাদ ব্যবসার মূল দিকের সঙ্গে জড়িত নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করেন, পরিবারের সম্পদ হ্রাসে তিনি আগ্রহী হবেন না। বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ার সম্পদ ছাড়তে তিনি রাজি হবেন না (মারডক জাতিগতভাবে একজন অজি), কারণ অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তাঁর গভীর সংযোগ।
তবে লাকলান যা চাইবেন, তাই হয়ে যাবে, এমন সম্ভাবনা কম বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। রুপার্টের মৃত্যুর পর পরিবারের ট্রাস্ট চলে যাবে মারডকের চার জ্যেষ্ঠ সন্তানের হাতে। তাঁদের মধ্যে একজন জেমস বাবার মতো ডানপন্থী লাইনে পত্রিকা চালাতে চান না। এ ছাড়া পারিবারিক ব্যবসায় তাঁর বিশেষ আগ্রহ নেই। রুপার্টের আরেক সন্তান এলিজাবেথ মনে করেন, উদ্দেশ্যবিহীন মুনাফা করা সংবাদপত্রের কাজ নয়। তিনি এর বিপদ নিয়ে সতর্ক করে গেছেন। রুপার্টের আরেক সন্তান প্রুডেন্স সাধারণ অন্তরালে থাকেন। সে জন্য ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, তাঁরা ফক্স ও নিউজ করপোরেশনের চরিত্র পাল্টে দিতে পারেন।