এক সমীক্ষা থেকে জানা যাচ্ছে, সপ্তাহে অন্তত দুই’বার তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার ফলে হার্টের সমস্যার ঝুঁকি হ্রাস পায়। কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ প্রতিরোধে তৈলাক্ত মাছের বিকল্প নেই। যারা ইতোমধ্যে এই রোগে আক্রান্ত তাদের জন্য এই মাছ আরও বেশি কার্যকর।
এছাড়াও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, মাছে থাকা ওমেগা-৩ (omega-3) ফ্যাটি অ্যাসিডই মূলত হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো বড় বড় সমস্যার ঝুঁকি হ্রাসে ভূমিকা রাখে। হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে বিশেষজ্ঞরা এ জাতীয় মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
কানাডার ম্যাকমাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক অ্যান্ড্রু মেন্তে এ বিষয়ে জানিয়েছেন, কার্ডিওভাসকুলার রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা মাছ খাওয়ার অভ্যাস করলে এবং নিয়মিত মাছ খাওয়ার ফলে তারা অনেকটাই সুরক্ষিত থাকবেন। হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি বেশি মাছ খাওয়ার ফলে কার্ডিওজনিত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন। মূলত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কম করে। সাধারণত হার্টে রক্ত জমাট বাঁধলে এ সমস্যার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু বিপরীতে শরীরে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কম থাকার ফলে রক্তে এই জমাট বাঁধার সম্ভাবনা খুবই কম থাকে।
সূত্র : মেয়ো-ক্লিনিক ও হেলথ লাইন