শুক্রবার (১২ মার্চ) দেশটির রাষ্ট্র পরিচালিত শিপিং কোম্পানি এ তথ্য জানিয়েছে। জাহাজটি ইরান থেকে ইউরোপে যাচ্ছিল। হামলার পর জাহাজের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সংস্কার করা হয়। পরে এটি আবার গন্তব্যের দিকে যাত্রা করেছে।
ইরান জানিয়েছে, তারা এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা ও নৌ-জলদস্যুতার বিষয়টি খতিয়ে দেখবে এবং এর সঙ্গে যুক্ত দুষ্কৃতিকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তেহরানের দাবি- এ হামলার পেছনে ইসরায়েলের হাত থাকতে পারে বলে তারা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। অন্যদিকে ইসরায়েল বলছে- এই ঘটনা ইরান নিজেই ঘটিয়ে অন্যদের ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।
ইরানের শিপিং কোম্পানির মুখপাত্র আলী ঘিয়াসিয়ান বলেছেন, এ ধরনের সন্ত্রাসী হামলা নৌ-জলদস্যুতার সামিল। বাণিজ্যিক জাহাজের নিরাপত্তা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠনের সহায়তায় দুষ্কৃতিকারীদের খুঁজে বের করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তাৎক্ষণিকভাবে হামলার কারণ জানা যায়নি। তবে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, অজানা উৎস থেকে ইচ্ছাকৃতভাবেই ইরানি জাহাজটিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে। এর দুই সপ্তাহ আগে ওমান উপসাগরে ইসরায়েলি একটি জাহাজে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল। এবার ইরানি জাহাজে হামলার ঘটনা ঘটল।