সরকার ইতিমধ্যেই ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের মূলধনের ভিত্তি ১০০ কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৫,০০০ কোটি টাকা করার প্রস্তাব দিয়েছে। এই ২৫,০০০ কোটি টাকা হবে এলআইসির অথোরাইজড ক্যাপিটাল। পরিকল্পনার ফলে এই নতুন ২৫,০০০ কোটি টাকার অথোরাইজড ক্যাপিটাল ভাগ করা হবে ২৫০০ কোটি শেয়ারে যেগুলি প্রতিটি শেয়ার ১০ টাকার হবে। ১৯৫৬ সালের এলআইসি অ্যাক্ট এর ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন আনা হচ্ছে। অর্থাৎ সেক্ষেত্রে যদি পুরো অথোরাইজ ক্যাপিটালকেই পেইড আপ ক্যাপিটাল হিসেবে ধরা হয় তাহলে মোট শেয়ার মূলধন ২৫০০ কোটি শেয়ারে ভাগ করা হয় তাহলে প্রতি শেয়ারের ফেস ভ্যালু দাঁড়ায় ১০ টাকা।
এবার আইপিওর ক্ষেত্রে শেয়ারের মূল্য নির্ধারণের জন্য ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের সামগ্রিক মূল্য এবং অনুবিদ্ধ মূল্য বা এম্বেডেড ভ্যালু (ইভি ) হিসাব কষতে হবে। সে ক্ষেত্রে এখন এই ইভি কত হতে পারে তার হিসাব কষা চলছে। ফলে ইভি কত তা একবার জানা গেলে তখন ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক অ্যাঙ্কার ইনভেস্টরস-এর সঙ্গে আলোচনা করে মূল্য ঠিক করবে যেটা হবে ইভি-র গুণিতক।
মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সুব্রামানিয়াম ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছেন, সরকার ৯০,০০০ কোটি টাকা তুলবে ভারতীয় জীবন বিমা নিগমের ৬-৭ শতাংশ অংশীদারিত্ব ছেড়ে দিয়ে। তাছাড়া মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই বিষয়ে হিসাব-নিকাশ করে সংস্থার সামগ্রিক মূল্য দাঁড়াতে পারে ১২.৮৫-১৫ লক্ষ কোটি টাকা। এবার এই দুই তথ্যকে সামনে রেখে হিসেব কষে আসন্ন আইপিওতে প্রতিটি শেয়ারের দাম হতে পারে ৪০০-৬০০ টাকা। তবে আইপিওর জন্য মূল্য পরিবর্তন হতে পারে যদি সরকার সিদ্ধান্ত নেয় এই অথোরাইজড শেয়ার ২৫০০ কোটি না ধরে কম ধরে । যদি তা ১০০০ কোটি বা ১৫০০ কোটি ধরা হয়। তাছাড়া একইরকম ভাবে সংস্থার প্রকৃত ও মূল্যায়নের অংকটাও পরিবর্তিত হতে পারে।