মিয়ানমারে ৩২ চীনা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ

মিয়ানমারে ৩২ চীনা প্রতিষ্ঠানে লুটপাট-অগ্নিসংযোগ
মিয়ানমারে চীনা বিনিয়োগ রয়েছে— এমন ৩২টি কারখানায় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। গত রোববার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত এসব প্রতিষ্ঠানে তাণ্ডব চালানো হয়। এছাড়া এ দুদিনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়েছেন মোট ৬৫ জন।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর রোববার ছিল মিয়ানমারে পর্যন্ত সবচেয়ে রক্তাক্ত দিন। দেশটির বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভে এদিন ৫০ জন মারা গেছেন। সোমবার মারা গেছেন আরো ১৫ জন। বিবিসি এবং মিয়ানমারের সংবাদমাধ্যম দ্য ইরাবতী এই তথ্য জানিয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রত ট্যাবলওয়েড গ্লোবাল টাইমসের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সোমবার দুপুর পর্যন্ত মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনসহ বিভিন্ন শহরে চীন-সংশ্লিষ্ট ৩২ টি কারখানায় ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।

এই কারখানাগুলোর বেশিরভাগই মিয়ানমারের প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে অবস্থিত। কারখানার চীনা কর্মীরা বিবিসিকে বলেছেন, তাদের কারখানাগুলো বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হচ্ছে, ফলে তাদের নিরাপত্তা প্রয়োজন।

চীন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রড, কুঠার এবং পেট্রোল নিয়ে আক্রমণ চালিয়ে কারখানাগুলোর ক্ষতিসাধন করেছে। এগুলো মূলত তৈরি পোশাকের কারখানা কিংবা গুদাম। একটি চীনা হোটেলও হামলার লক্ষ্যে পরিণত হয়।

মিয়ানমারের চীন দূতাবাস তাদের ফেসবুক পেজে জানিয়েছে, কারখানাগুলোতে লুটপাট হয়েছে, ক্ষতিসাধন করা হয়েছে। বহু চীনা কর্মী আহত হয়েছেন এবং অনেকে আটকা পড়েছেন।

মিয়ানমারে বিক্ষোভকারীরা মনে করে চীন বার্মিজ সেনাবাহিনীকে সমর্থন দিচ্ছে, যদিও রোববারের চীনা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হামলার পেছনে কে বা কারা ছিল তা এখনো শনাক্ত করা যায়নি এখনও।

রোববারের রক্তপাতের পরদিন সোমবার ইয়াঙ্গন এবং মান্দালয় শহরের নতুন নতুন এলাকায় সামরিক আইন জারি করা হয়। অর্থাৎ এসব এলাকায় বিক্ষোভকারীদের এখন সামরিক আদালতে বিচার করা যাবে।

তবে সোমবারও মান্দালয় শহরের কয়েকটি স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে বলে জানা গেছে। মধ্যাঞ্চলীয় মিনগিয়ান এবং অংলান শহরেও বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালিয়েছে বলে জানা গেছে।

সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকেই সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ হচ্ছে মিয়ানমারের সাবেক রাজধানী এবং দেশের বৃহত্তম শহর ইয়াঙ্গনে। রোববার ঐ শহরে চীনা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা হলে শহরের দুটি এলাকায় সামরিক আইন জারি করা হয়।

নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইংয়ের নেতৃত্বে এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির রাষ্ট্রক্ষমতা দখল করে সেখানকার সেনাবাহিনী। বন্দি করা হয় মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী অং সান সু চি ও তার দল এনএলডির প্রায় ২ হাজার সদস্যকে।

অভ্যুত্থানের পর থেকে অং সান সুচি কোথায় রয়েছেন তা এখনও পরিষ্কার নয়। তাকে অজ্ঞাত জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে হাজিরের কথা থাকরেও ভার্চুয়াল শুনানি মুলতবি করা হয়।

আর্কাইভ থেকে

আরও পড়ুন

পেট্রোল-ডিজেলের নতুন দাম ঘোষণা
ভিসা ছাড়াই যুক্তরাজ্যে যেতে পারবে মুসলিম ৬ দেশ
মারা গেছেন পণ্ডিত ভবানী শঙ্কর
২০২৩ এ আলোচিত বিশ্বের সেরা ১০ ঘটনা
ব্রিকসে যোগ দেবে না আর্জেন্টিনা
নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিশ্ববাসী
১০ টাকাতেই মিলবে বই
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী নারী ফ্রাঁসোয়া বেটেনকোর্ট
সৌদি আরবে আরো একটি স্বর্ণের খনির সন্ধান
শক্তিশালী ভূমিকম্পে কাঁপলো ইন্দোনেশিয়া