স্থানীয়দের দাবি, ‘এটি যুদ্ধ এলাকার মতো, তারা সব জায়গায় গুলি করছে।’
গত রবিনার হ্লাইং থারায়ারে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ৪০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকটি কারাখানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। নিহতদের পরিবারের স্বজনরা মঙ্গলবার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন।
জানা যায়, দরিদ্র শহরতলি হ্লাইং থারায়ারের অনেক বাসিন্দাই অভিবাসী ও শ্রমিক। মঙ্গলবার তারা তাদের জিনিসপত্র মোটরবাইক ও টুকটুকে (হিউম্যান হলার) উঠিয়ে এলাকা ছেড়ে চলে গেছে।
চলমান এই সহিংসতার কারণে ইয়াঙ্গুনসহ ও অন্যান্য এলাকায় খাদ্যসংকট ও জ্বালানির দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘের অঙ্গসংগঠন ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম। এক বিবৃতিতে ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের মিয়ানমার প্রধান জানান, সংঘাতের কারণে দেশটিতে খাদ্যসংকট ও জ্বালানির দাম বৃদ্ধির ঝুঁকি কয়েকগুণে বেড়েছে। বিশেষ করে নিম্ন শ্রেণীর মানুষ সবচেয়ে বেশি বিপদে আছে এখন। তাছাড়া করোনাভাইরাসের মহামারিতে সেই বিপদ আরও প্রগাড়।
গত ১ ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে সেনাবাহিনী। এরপর থেকে দেশটিতে অভ্যুত্থানবিরোধী বিক্ষোভে দেড় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে।