মামলায় বলা হয়, মার্কিন কংগ্রেস যে জ্বালানি নীতি তৈরি করেছে তা পরিবর্তন করার একতরফা অধিকার বাইডেনের নেই।
বাইডেন অফিসে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই যে সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার এই বিতর্কিত পাইপলাইন নির্মাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত। কানাডার আলবার্টা থেকে কিস্টোন এক্সএল পাইপলাইনের মাধ্যমে দৈনিক ৮ লাখ ৩০ হাজার অপরিশোধিত তেল পরিবহন করা হত।
মার্কিন সিনেটের জ্বালানি বিষয়ক কমিটির প্রধান জো ম্যানচিন গত মাসে এই পাইপলাইন নির্মাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে বাইডেনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এই প্রকল্প কর্মসংস্থান তৈরি করছে এবং ট্রাক ও ট্রেনের মাধ্যমে তেল পরিবহণ করার চেয়ে এটি নিরাপদ।
বুধবার কেন প্যাক্সটন ও মন্টানার অ্যাটর্নি জেনারেল অস্টিন নুডসেন টেক্সাসের ফেডারেল জেলা আদালতে এই মামলা দায়ের করেন। মামলায় আরও যেসব অঙ্গরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল বাদী হিসেবে রয়েছেন সেগুলো হল- অ্যালাবামা, আরকানসাস, জর্জিয়া, ইন্ডিয়ানা, কেনটাকি, লুইসিয়ানা, মিসিসিপি, মিসৌরি, নেব্রাস্কা, নর্থ ডাকোটা, ওহাইও, ওকলাহামা, সাউথ ক্যারোলাইনা, সাউথ ডাকোটা, ইউটাহ ও ওয়াইওমিং।
মামলার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে একতরফাভাবে কিস্টোন এক্সএলের অনুমোদন বাতিলের সিদ্ধান্ত সাংবিধানিক কাঠামোর পরিপন্থী, যা অনুমোদনের সময় অঙ্গরাজ্যগুলো সম্মত হয়েছিল।’
হোয়াইট হাউস থেকে এ মামলার বিষয়ে এখনও কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।