হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ জানান, বিমান বা সমুদ্রবন্দর দিয়ে আসা কারও করোনা আক্রান্তের লক্ষণ প্রকাশ পেলে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী তাকে এ হাসপাতালে ভর্তি করা হবে। এজন্য ২৪ জানুয়ারি থেকে হাসপাতালের ডায়রিয়া ইউনিটের দুটি কক্ষে আইসোলেটেড ইউনিট খোলা হয়েছে।এ হাসপাতালে সংক্রামক ভাইরাস প্রতিরোধে রোগীর জন্য বিশেষ পোশাকও সরবরাহ করেছে সরকার।
জানা গেছে, করোনাভাইরাসের ঝুঁকি মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নগরে কোয়ারেন্টাইনের জন্য হালিশহরের পিএইচ আমিন একাডেমি ও কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকার সিডিএ পাবলিক স্কুলকে প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি সব হাসপাতালেও আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হচ্ছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৩০টি কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে এবং বিভিন্ন উপজেলা হাসপাতালে আলাদা কক্ষ তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।
উল্লেখ্য, রোববার (৮ মার্চ) প্রথমবারের মতো দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। আইইডিসিআর পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা জানান, দেশে আক্রান্ত তিনজনের মধ্যে দুজন পুরুষ ও একজন নারী। তাদের মধ্যে দুজন ইতালি ফেরত। সোমবার ওই রোগীর সংস্পর্শে আসা আরও ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে।
সরকার ও স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।