আন্তর্জাতিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
ফাইজার জানায়, ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি ক্রমেই বায়োলজিক ওষুধের ওপর নির্ভরশীল হয়ে উঠেছে, যা প্রাণীদেহের অংশ থেকে তৈরি হয়।
এসব ওষুধ রাসায়নিক উপাদানে তৈরি প্রচলিত ওষুধের তুলনায় বেশ দামি হয়ে থাকে।
রয়টার্সের এক প্রশ্নে ফাইজার জানায়, বন্ধ করে দেয়া কারখানাটিতে তিন ধরনের বায়োসিমার উৎপাদনের জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে কারখানাটিতে অন্যান্য প্রডাক্টও উৎপাদনের পরিকল্পনা করেছিল ফাইজার। তবে তার কোনোটিই সেই কারখানার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ না হওয়ায় তা বন্ধ করা হয়েছে।
তবে কারখানাটি বিক্রির ব্যাপারে করা চুক্তি সম্পর্কে ফাইজার বা য়ুজি কোনো পক্ষই বিস্তারিত জানায়নি। ফলে কারখানাটির বিক্রয়মূল্য এবং সেখানে বর্তমানে কী ধরনের প্রডাক্ট উৎপাদন করা হবে, তার কিছুই জানা যায়নি। য়ুজি জানায়, বিভিন্ন ধরনের ওষুধের কাঁচামাল ও ওষুধ উৎপাদন করতে কারখানাটি তাদের চাহিদা পূরণ করবে।
উইচ্যাট গ্রুপের দেয়া এক তথ্যে চীনা প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ফাইজার থেকে কিনে নেয়া কারখানাটি বায়োরেক্টরস সুবিধার পাশাপাশি ওষুধের বোতল ও সিরিঞ্জ ভর্তি করার সুবিধাও পাওয়া যাবে। বর্তমানে য়ুজি ব্রাজিলে সরবরাহের জন্য অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি কভিড-১৯-এর টিকার জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল তৈরি করছে।
য়ুজি বায়োলজিকসের মুখপাত্র জানান, কারখানাটি অধিগ্রহণের পর য়ুজি গ্রাহকের চাহিদা অনুযায়ী উচ্চমানের ওষুধ তৈরির কাঁচামাল ও ওষুধ পণ্য উৎপাদনের দিকে মনোযোগ দেবে। পাশাপাশি তারা মোনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি তৈরির দিকেও মনোযোগ দেবে বলে জানায়।