বুধবার (১৭ মার্চ) বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভায় এই ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
বিশ্বব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে ফেরত আসা প্রবাসী শ্রমিকরা অনেকে ঋণের বোঝা নিয়ে ফিরেছেন। তাদের মানসিক শক্তি জোগাতে নানা ধরনের কাউন্সেলিং সেবা দরকার। এ ছাড়া তাদের ভকেশনাল, কারিগরি, ব্যবসায় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে। সারা দেশের ৩২ জেলার কল্যাণ কেন্দ্র থেকে দেওয়া হবে এ সেবা। প্রকল্পটি মূলত ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীর সামাজিক নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে।
‘অনানুষ্ঠানিক খাতের কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রকল্পে এই টাকা খরচ করা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশে ফিরে আসা ২ লাখ প্রবাসী শ্রমিককে সহায়তা দেওয়া হবে। তারা যাতে আবার বিদেশে ফিরে যেতে পারেন অথবা স্থানীয় শ্রমবাজারে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ প্রকল্প থেকে প্রবাসীদের নগদ অর্থ দেওয়া হবে। আর পাশাপাশি দেওয়া হবে কাউন্সেলিং ও প্রশিক্ষণ। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১ লাখ ৭৫ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তাদের মধ্যে বেশির ভাগ তরুণ এবং ছোট উদ্যোক্তা। ছোট উদ্যোক্তারা যাতে নতুন কর্মসংস্থান তৈরি করতে পারে। এ কারণে সহায়তাও দেওয়া হবে প্রকল্পটি থেকে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, কয়েক দশক ধরে দারিদ্র্য বিমোচনে শহরের অনানুষ্ঠানিক খাত এবং প্রবাসী শ্রমিকদের উল্লেখযোগ্য ভূমিকা আছে। তবে করোনার কারণে উভয় খাতই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। করোনা-পরবর্তী টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য প্রবাসী শ্রমিক ও অনানুষ্ঠানিক খাতের শহুরে বেকারদের কর্মসংস্থানের বাধাগুলো দূর করতে হবে।
এই ঋণ বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে পাচ্ছে বাংলাদেশ। এটি সহজ শর্তের ঋণ। এই ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ৩০ বছর। ২০১৫ সালে নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ায় বাংলাদেশ এখন বিশ্বব্যাংকের কাছ থেকে সহজ শর্তের পাশাপাশি কঠিন শর্তের কিছু ঋণ নিচ্ছে।