নিউজিল্যান্ডে অধরা জয়ের খোঁজে সিরিজ শুরু করেছে টাইগাররা। ৩ ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি ইউনিভার্সিটি ওভালে। ওয়ানডে অধিনায়কের পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে প্রথমবার বিদেশের মাটিতে টস করতে নামেন তামিম ইকবাল। নিজের ৩২তম জন্মদিনে টস ভাগ্য সঙ্গ দিল না তার। হারের পর ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পেলেন তিনি। তিন পেসার নিয়ে খেলার দিনে অভিষেক হলো স্পিন অলরাউন্ডার শেখ মেহেদী হাসানের।
জন্মদিনে টস ভাগ্য তামিমকে হতাশ করলেও কিউই অধিনায়ক টম লাথাম নিজের ১০০তম ওয়ানডে ম্যাচটি রাঙিয়েছেন টস জিতে। মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচটি আরও বিশেষ হয়ে থাকলো লাথামের কাছে। মাঠে নামার আগে বাবা রড লাথামের কাছ থেকে শততম ওয়ানডের ক্যাপ নেন তিনি।
সাড়ে ৪ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার স্টেডিয়ামটি সকাল থেকে সমর্থক দিয়ে পূর্ণ। অধরা জয়ের খোঁজে নেমে নিজেদের ইনিংসের শুরুটা নেহায়েত মন্দ হলো না তামিম ইকবালের দলের। বোল্টের করা ইনিংসের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলটি সরাসরি সীমানার বাইরে আছড়ে ফেলেন তামিম। এমনটি প্রত্যাশা ছিল না খোদ বোল্টেরও। তবে সেই বোল্টেই ধরাশায়ী তামিম, গোটা বাংলাদেশ দল।
গুড লেংথের বলটি একেবারেই পড়তে পারেননি বাঁহাতি ওপেনার। বলের লাইনে ব্যাট নিতে না পারার খেসারত দিতে হয় তাকে। লেগবিফোরের ফাদে পড়ে ১৩ রানে সজঘরে ফেরেন টাইগার দলপতি। বাংলাদেশ সময় ভোর চারটায় শুরু হওয়া ম্যাচে যারা একটু দেরিতে টেলিভিশন চালু করেছেন, তারা হয়তো ঠিকঠাক বুঝতেও পারেননি তিন নম্বরে নাজমুল হোসেন শান্তর পরিবর্তে সৌম্য সরকার খেলেছেন আজ।
ক্রিজে এসেই তাড়াহুড়া শুরু করেন সৌম্য। একই ওভারে বোল্টকে উইকেট দিয়ে আসেন তিনি। হালকা লাফিয়ে ওঠা বল কাভারে খেলতে গিয়ে ডেভন কনওয়েকে সহজ ক্যাচ দেন। পরের ওভারে ফিরতে পারতেন লিটন দাস। তবে তাকে ৩ রানে একবার জীবন দেন সেই কনওয়ে। সুযোগ পাওয়া ইনিংসটি লম্বা করতে পারেননি এই ওপেনার। নিশামের বলে বোল্টকে সহজ ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ৩৬ বলে ১৯ রান করে।
দলের হাল ধরতে লড়াই চালিয়েছেন মুশফিক, মোহাম্মদ মিঠুনকে নিয়ে ইনিংস মেরামতের কাজ শুরু করলেও সফল হননি তিনি। নিশামের শট বলে ক্যাচ দিয়েছেন গাপটিলের হাতে। এতে ৪৯ বলে ২৩ রানের সংগ্রামী ইনিংসটি আর বড় হয়নি। মিস্টার ডিপেনডেবল যেখানে ব্যর্থ, বাকিদের যেখানে কি আর করার থাকে!
ইনিংসের ২৪তম ওভারে দুর্ভাগ্যজনক রানআউটে শিকার হন মিঠুন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের শটটা জিমি নিশামের হাত ছুঁয়ে অন্য পাশের স্ট্যাম্প ভাঙে। মিঠুন কাটা পড়েন ৯ রানে। বাকিরা যেখানে স্বাগতিকদের পেসারদের সুইং আর বাউন্স সামলাতে কুপোকাত, সেখানে গোটা বছর স্পিন খেলা মিরাজ ঘূর্ণি বলে ধরেছেন প্যাভিলিয়নের পথ। ১ রান করে স্যান্টনারের বলে আউট হন তিনি।
অভিষেক হওয়া শেখ মেহেদী হাসান শুরুতেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন। তবে লাভ হলো না তাতে। একটি করে চার-ছয়ে থামলেন মাত্র ২০ রানে। এবারও শিকারির নাম মিচেল স্যান্টনার। উইকেট হারানোর মিছিলে স্কোর বোর্ডে রান তুলতেও ভুলে যায় সফরকারীরা। ইনিংসের ৩৩তম ওভারে দলীয় ১০০ রানের দেখা পায় বাংলাদেশ দল।