এদিন, NTPC, HUL এবং Reliance Industries-এর শেয়ারের দর সবথেকে বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে, Tech Mahindra এবং Larsen & Toubro-র শেয়ারের দরে ধস নেমেছিল। ক্ষেত্রগত সূচকের মধ্যে একমাত্র নিফটি রিয়ালিটি বাজার বন্ধ হওয়ার সময় ছিল রেড জোনে। আর নিফটি এফ,এম,সি,জি এবং নিফটি মেটাল সূচক লাভবান হয়েছে সবথেকে বেশি।
এদিন চূড়ান্ত অস্থিরতার সাক্ষী থেকে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক। বাজার বন্ধ হওয়ার সময় সূচক যেখানে দাঁড়িয়ে ছিল দিনের এক সময় সেখান থেকে১,২৭০ পয়েন্ট নীচে নেমে গিয়েছিল সেনসেক্স। অন্যদিকে, নিফটিও অনেকটা নীচে নেমে যায়। সেখান থেকে ফের ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে সূচক। এদিন লগ্নিকারীদের মুখে হাসি ফুটিয়ে দিনের শেষে তা গ্রিন জোনে গিয়ে থামে।
বুধবার মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ২০২৩ সাল অবধি সুদের হার না বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার সে দেশে সরকারি ঋণপত্রে ‘ইল্ড’ গত ১৪ মাসের শিখরে পৌঁছে গিয়েছিল। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সুদের অভিমুখ সূচকে এই বৃদ্ধি গত কয়েকদিন ধরেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বের শেয়ার বাজারে। তারই সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার-সহ টানা ৫ দিন নিম্নমুখী ছিল মুম্বই শেয়ার বাজার।
সুদের হার বাড়লে তার বিপরীত প্রতিক্রিয়া দেখা যায় শেয়ার বাজারে। গত কয়েকদিন ধরে সেটাই দেখা যাচ্ছিল মুম্বই শেয়ার বাজারে। এর উপর কোভিড সংক্রমণের সেকেন্ড ওয়েভ আরও ভয় ধরিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মনে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বৃদ্ধির ফলে বাজারে আসা কোভিড টিকাগুলি কতটা কার্যকরী তা নিয়েও সন্দেহ দানা বাঁধছে। এই পরিস্থিতিতে গত কয়েকদিন থেকে শেয়ার বাজারে নেতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছিল। সপ্তাহের শেষ দিনে অবশ্য সেই গ্রহণ থেকে মুক্তির ইঙ্গিত মিলেছে।