ভন ডের লেয়েন এক জার্মান সংবাদমাধ্যমের কাছে বলেন, ‘রফতানি বন্ধের সুযোগ আমাদের রয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকার কাছে আমাদের বার্তা: অন্য দেশে সরবরাহ শুরু করার আগে ইউরোপের সঙ্গে আপনাদের চুক্তি আগে পূরণ করুন।’
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ভ্যাকসিন প্রয়োগ কর্মসূচি বেগবান করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ইউরোপের অনেক দেশেই এখন করোনার তৃতীয় ঢেউ চলছে। এর ফলে বিভিন্ন বিধিনিষেধও নতুন করে আরোপ করছে কিছু দেশ।
ভন ডের লেয়েন জানান, অ্যাস্ট্রাজেনেকা এ বছরের প্রথম এক চতুর্থাংশ সময়ে তাদের প্রতিশ্রুত ৯ কোটি ডোজের মাত্র ৩০ শতাংশ সরবরাহ করতে পেরেছে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই তাদের ইউরোপের কারখানায় ভ্যাকসিন উৎপাদনে দেরি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। তবে ইইউ কর্মকর্তারা অভিযোগ তুলেছেন, ব্রিটেনে চুক্তি অনুযায়ী ঠিকঠাকভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহ করলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নে ভ্যাকসিন দিতে গড়িমসি করছে কোম্পানিটি।
ইউরোপে ভ্যাকসিনের সরবরাহ নিশ্চিত করতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে করোনা ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধে বুধবার জরুরি ক্ষমতা প্রয়োগের হুমকি দিয়েছিলেন ভন ডের লেয়েন।
কয়েক দিন আগে ইতালি অস্ট্রেলিয়ায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার আড়াই লাখ ভ্যাকসিন ডোজ রফতানি আটকে দেয়। ইইউর অন্য সদস্য দেশগুলোও ইতালির উদাহরণ অনুসরণের কথা ভাবছে।
তবে সকল ইইউ সদস্য ভ্যাকসিন রফতানি বন্ধের পক্ষে নয়। এর ফলে বৈশ্বিকভাবে ভ্যাকসিন সরবরাহে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তারা।