রোববার (২১ মার্চ) থেকে টিকাগ্রহণ উন্মুক্ত করে দেয় দেশটি। এ অবস্থায় টিকা নিতে নিবন্ধনের জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আমিরাতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যদিয়ে দেশটিতে ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকায় অগ্রাধিকারের ছয় সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শেষ হলো। খবর গালফ নিউজের।
শনিবার (২০ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সংযুক্ত আরব আমিরাতের নাগরিকসহ বসবাসকারী ১৬ বছর ও তার অধিক বয়সী ব্যক্তিরা দেশের ২০৫টি কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে করোনা টিকা নিতে পারবেন।
এতে বলা হয়, অধিক ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিরা এখন চাইলে আগে থেকে নিবন্ধন না করেও টিকা নিতে পারবেন। গত ছয় সপ্তাহে বয়স্ক,
হৃদযন্ত্র, ডায়াবেটিস ও শাসকষ্টজনিত রোগে ভোগা ব্যক্তিসহ সংক্রমণের বেশি ঝুঁকিতে থাকা ব্যক্তিদের টিকা প্রদাণে সকল স্বাস্থ্য বিভাগের সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা দেখা গেছে।
আমিরাতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. আবদুল রহমান বিন মোহাম্মদ বিন নাসের আল ওয়াইস বলেন,‘বয়স্ক ও দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগা ব্যক্তিদের মধ্যে ৭২ দশমিক ৮৯ শতাংশকে টিকা দেয়া হয়েছে। এই সংখ্যা দেশে করোনা টিকার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিদের ৫৬ দশমিক ৫৯ শতাংশ।’
দেশে করোনা প্রতিরোধী ক্ষমতা (ইমিউনিটি) গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে টিকার উপযোগী সকলকে টিকা গ্রহণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। সেইসঙ্গে সবাই যেন পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং সহকর্মীদের টিকা নিতে উৎসাহী করেন সেই আহ্বানও জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
সংযুক্ত আরব আমিরাতে জরুরি ব্যবহারের জন্য চারটি করোনা টিকার অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সিনোফার্ম, ফাইজার-বায়োএনটেক, স্পুটনিক ফাইভ এবং অক্সফোড-অ্যাস্ট্রজেনেকার টিকা।