- পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে কলার মোচা বেশ উপকারী। এটি শরীরে প্রজেস্টেরন হরমোনের বৃদ্ধি ঘটায়। এছাড়াও, এটি পেটের বিভিন্ন সমস্যা, যেমন - কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট ফোলা প্রতিরোধ করতে পারে। পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিনড্রোমের ক্ষেত্রেও এটি খুব কার্যকর।
- কলার মোচায় থাকা ম্যাগনেসিয়াম মুড ভালো রাখতে ভূমিকা রাখে। ম্যাগনেসিয়াম উদ্বেগ ও হতাশা হ্রাস করতে সহায়তা করতে পারে। এটি মুড সুইং নিয়ন্ত্রণ করে। কলার মোচা খেলে প্রাকৃতিকভাবেই হতাশা কাটাতে সাহায্য করবে।
- কলার মোচা লো গ্লাইসেমিক সূচক খাবার হওয়ায় ডায়াবেটিসের মাত্রা অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করে। এটি হৃদরোগের ক্ষেত্রেও অত্যন্ত উপকারী।
- কলার মোচায় থাকা উচ্চ পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ফ্রি ব়্যাডিকালের বিরুদ্ধে লড়াই করে, অক্সিডেটিভ ড্যামেজ রোধ করে। এতে হৃদরোগ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি হ্রাস পায়।
- ওজন কমাতে সাহায্য করে কলার মোচা। গবেষণা অনুযায়ী, কলার মোচায় প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। এটি খেলে পেট ভরা থাকে এবং ক্ষিদে কমে যায়।
- কলার মোচার মধ্যে আয়রনের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকে। এটি হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণ করে এবং শরীরে রক্তের অভাবও দূর করে। এতে শরীরের জন্য উপকারী পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, কপার, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন-ই রয়েছে।
- সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে কলার মোচার জুড়ি নেই। এতে থাকা উপাদান জীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার শক্তি জোগায়। এটি প্যাথোজেনিক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়।