আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈঠকের পর মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব দেশটিতে চলমান যুদ্ধের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দেশটিতে (আফগানিস্তানে) এখনও সহিংসতার মাত্রা অনেক বেশি। সমঝোতার মাধ্যমে সংঘাত অবসানে বড় ধরনের সহিংসতা কমানোর দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।
লয়েড অস্টিন নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, আমরা সত্যিই আফগানিস্তানে সহিংসতার মাত্রা কমে এসেছে এটা দেখতে চাই। সহিংসতা কমলে ন্যূনতম কূটনৈতিক শর্তে কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আফগানিস্তান পুনর্গঠন বিষয়ক বিশেষ পরিদর্শক জন সোপকো বলেছেন, আফগান সরকার ও তালেবানের সঙ্গে শান্তি চুক্তি ছাড়া মার্কিন সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নেয়া হবে একটি বিপর্যয়। যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা ছাড়া আফগানিস্তানের বর্তমান সরকারের পতন ঘটবে।
উল্লেখ্য, নাইন-ইলেভেনের হামলার পর তালেবান সরকারকে উৎখাত করতে ২০০১ সালে আফগানিস্তানে হামলা করে মার্কিন সেনারা। তবে সেসময় তালেবান গোষ্ঠীকে ক্ষমতা থেকে সরানো গেলেও পুরোপুরি নির্মূল করতে পারেনি আমেরিকা। আর তাই প্রায় ২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে ধীরে ধীরে নিজেদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে ওয়াশিংটন।