ইন্টার আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম চলার কারণে এবং ব্যবসাগুলো চালু থাকায় এবার এ অঞ্চলের উৎপাদন ৪ দশমিক ১ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। ২০২০ সালে সংকোচন ছিল ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা ১৮২১ সালের পর সবচেয়ে বেশি। সে সময় স্পেন থেকে আলাদা হতে লড়াই করছিল কিছু লাতিন আমেরিকান দেশ। সে কারণে টালমাটাল ছিল অর্থনৈতিক অবস্থা।
গত কয়েক বছরে লাতিন আমেরিকার দেশগুলোয় বেকারত্বের হার বেড়েছে, সেই সঙ্গে বেড়েছে অতিদারিদ্র্য। ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাও। পুরো বিশ্বের জনসংখ্যার মাত্র ৮ শতাংশের বাস এখানে। অথচ নভেল করোনাভাইরাসে মোট মৃত মানুষের মধ্যে এক-চতুর্থাংশই এখানে। সব মিলিয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে অর্থনীতি। সেটিকে স্থিতিশীল রাখতে মহামারীর মধ্যে এ অঞ্চলের সরকারগুলো প্রায় ৫০ হাজার কোটি ডলার অর্থসহায়তা দেয়। পাশাপাশি দেশগুলোর উচিত ডিজিটাল অর্থনীতির জন্য অবকাঠামো তৈরি করা এবং পরিবেশগতভাবে আরো টেকসই ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করা।