এ নিষেধাজ্ঞার ফলে চীনের সরকারি কর্মকর্তারা ইউরোপের ওই দেশগুলোতে প্রবেশ করতে পারবে না। এক প্রতিবেদনে বিবিসি এ খবর জানায়।
উল্লেখ্য, চীন দীর্ঘদিন ধরে দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জিনজিয়াংয়ে ১০ লাখ সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের বিভিন্ন ক্যাম্পে আটক রাখার অভিযোগ আছে। সেখানে জোর করে মুসলিমদের কাজ করানো, নির্যাতন ও নারীদের ধর্ষণ করে আসছে বলে অভিযোগ আছে।
ক্যাম্প থেকে ছাড়া পাওয়া একাধিক উইঘুর মুসলিম ছাড়াও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা এ নিয়ে বহুদিন ধরেই চীনের সমালোচনা করে আসছে।
পশ্চিমা দেশগুলোর এমন পদক্ষেপের পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে চীনও ইউরোপীয় দেশগুলোর কর্মকর্তাদের ওপরও একই ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
একইসঙ্গে চীন ইউঘুর নির্যাতনের বিষয়টি প্রত্যাক্ষাণ করে এটিকে সন্ত্রাসবাদ দমনে পুর্নশিক্ষা (রি-এডুকেশন) কার্যক্রম বলে দাবি করেছে।
কিন্তু ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমেনিক রাব এক বিবৃতিতে বলেছেন, চীন রাষ্ট্রীয়ভাবে উইঘুরদের মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
চীনের বেইজিংয়ে তিয়ানমেন স্কয়ারে ১৯৮৯ সালে গণতন্ত্রপন্থিদের ওপর সেনাবাহিনীর নির্বিচারে গুলিবর্ষণের ঘটনার পর থেকে দেশটির ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ইইউ।