বাংলাদেশ ডাক বিভাগের গত এক শতাব্দীর মধ্যে অন্যতম সফল উদ্যোগ ‘নগদ’। মাত্র চার মাসে এক কোটি ৮০ লাখ গ্রাহকভিত্তি তৈরি করেছে মোবাইলভিত্তিক এ মাধ্যমটি। বর্তমানে দৈনিক প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লেনদেন করে বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে বাংলাদেশেরই উদ্ভাবন নগদ।
মঙ্গলবার (২৩ মার্চ) রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান নগদের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। এসময় ডাক বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক জাকির হোসেন নুর, নগদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নিয়াজ মোরশেদ এলিট, শাফায়েত আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘২০১৯ সালের ২৬ মার্চ নগদের কার্যক্রম শুরু হয়। মাত্র দুই বছরের মধ্যেই বিশ্বের অন্যতম দ্রুতবর্ধনশীল মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস হিসেবে স্থান করে নিয়েছে নগদ। গত চার মাসে (নভেম্বর থেকে ২০ মার্চ) গ্রাহকভিত্তি তৈরি হয়েছে ১ কোটি ৮০ লাখ। নভেম্বরের আগ পর্যন্ত গ্রাহক ছিল ২ কোটি, সেটি বেড়ে এখন ৩ কোটি ৮০ লাখে পৌঁছেছে। গত নভেম্বর মাসের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হতো ১৫০ কোটি টাকা। গত চার মাসে তা বেড়ে এখন প্রতিদিন লেনদেন হচ্ছে ৪০০ কোটি টাকা।
নগদের সিইও রাহেল আহমেদ বলেন, ‘আমরা গুণগত মানে নতুনত্ব আনতে চাই। আমাদের এখন দেড় লাখ এজেন্ট কাজ করছেন দেশব্যাপী। আমরা ইকোসিস্টেমে কাজ করছি, এর মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকের বেতনও হবে নগদে। নগদ পোস্ট অফিসের মালিকানা না হলেও নগদ পোস্ট অফিসের রেভিনিউ পার্টনার। রেভিনিউয়ের ৫১ শতাংশ পোস্ট অফিসের।’
নগদ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা কতটুকু পালন করতে পারছে এমন প্রশ্নে নগদের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা শতভাগ পালন করে যাচ্ছি। কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রতিমাসের পাঁচ তারিখের মধ্যে সব তথ্য জমা দিতে বলেছে। আমরা প্রতি মাসের পাঁচ তারিখের আগেই তথ্য জমা দিয়ে আসছি।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংক নগদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে ছয় মাসের জন্য এনওসির সুযোগ দেয়। তবে করোনা পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আরও দুই মাস সুযোগ বাড়িয়ে দেন। এখন কাজ শেষ পর্যায়ে। এর মাধ্যমে শুধু রেভিনিউ না, মালিকানাও যাবে পোস্ট অফিসের হাতে।