পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ এ তথ্য জানিয়েছেন। দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা রিয়া নোভোস্তিকে পেসকভ বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন। টিকা নেওয়ার পর শারীরিকভাবে কোনো সমস্যা হয়নি তার, বেশ ভালো বোধ করছেন। আগামীকাল থেকে কাজে যোগ দিচ্ছেন তিনি।’
এদিকে ক্রেমলিন থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, চলতি বছরই শিশুদের জন্য বিশেষ এক ধরনের করোনা টিকা আনছে রাশিয়া, যার জন্য সিরিঞ্জের সুঁই প্রয়োজন প্রয়োজন পড়বে না; নাকের ছিদ্রপথেই দেওয়া যাবে সেই টিকা।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের অধিভূক্ত সংস্থা ইউরোপীয় কাউন্সিলের সমালোচনা করে বার্তায় বলা হয়, বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বাণিজ্যিক স্বার্থ রক্ষায় ইউরোপের দেশগুলোতে রাশিয়ার করোনা টিকাগুলো ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না, কিন্তু রাশিয়ার করোনা টিকা যে নিরাপদ তা ইতোমধ্যে প্রমাণিত।
এ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে প্রস্তুতকৃত তিনটি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ। এগুলো হলো গামালিয়া ইন্সটিটিউটের তৈরি করোনা টিকা ‘স্পুটনিক-৫’, সাইবেরিয়ার ভিক্টর ইন্সটিটিউটের ‘এপিভ্যাককরোনা’ এবং শুমাকভ সেন্টারের তৈরি ‘কোভিভ্যাক’।
তবে এই তিন করোনা টিকার মধ্যে কোনটির ডোজ পুতিন নিয়েছেন, তা পেসকভ বা ক্রেমলিন কর্মকর্তারা কেউই স্পষ্ট করে বলেননি।
২০২০ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারি শুরু হওয়ার পর এ রোগে পর্যুদস্ত দেশগুলোর অন্যতম হলো রাশিয়া। মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬১০ জন এবং এ রোগে ইতোমধ্যে সেখানে মারা গেছেন ৯৫ হাজার ৮১৮ জন।
যুক্তরাষ্ট্রের জন হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত করোনা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য বলছে, করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুর দিক থেকে বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে রাশিয়ার বর্তমানে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। তালিকায় রাশিয়ার আগে থাকা তিনটি দেশ হলো ভারত, ব্রাজিল ও যুক্তরাষ্ট্র।
ক্রেমলিনের বার্তায় অবশ্য বলা হয়েছে, সম্প্রতি দেশটিতে সংক্রমণের হার হ্রাস পেয়েছে; এবং এর প্রেক্ষিতে লকডাউনসহ অন্যান্য করোনা বিধিনিষেধও শিথিল করা হয়েছে। সূত্র: এএফপি