ইকোনমিক টাইমস– এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতে প্রায় ছয় কোটি ছোট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এক কোটির মতো প্রতিষ্ঠান ঋণ পেয়ে থাকে। বাকিরা এখনো মহাজন, বন্ধু ও আত্মীয়দের ওপর নির্ভর করে।
ব্যাংকারদের অভিযোগ, অনেক ক্ষেত্রে এসব প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র ঠিক থাকে না। এমনকি জিএসটিতেও নথিভুক্ত নয় তারা। এরপর প্রকল্পের প্রতিবেদনে অনেক ঘাটতি থাকে। সবচেয়ে বড় কথা, তাদের ব্যবসা ও বাজার সম্পর্কেও ধারণা থাকে না।
সে কারণে ব্যাংকারদের মত, ঋণ নেওয়ার ঠিক আগে নয়, বরং আগে থেকেই এসব ঘাটতি দূর করার উদ্যোগ নিতে হবে। এতে প্রক্রিয়াগত অনেক জটিলতা এড়ানো যায়। তবে এসব সত্ত্বেও অনেক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সরকারি ঋণ পাচ্ছে।
অন্য দিকে ছোট শিল্পের দাবি, যারা নতুন ব্যবসা শুরু করছে, তাদের কাগজপত্রের ঘাটতি থাকতে পারে। আবার তারা এ–ও বলেছে, অনেক নতুন প্রতিষ্ঠানের নথিপত্র ঠিক থাকলেও ঋণ পেতে সমস্যা হয়। কোভিডের মধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান নতুন কাজ পাচ্ছে। সেই কার্যাদেশ দেখিয়ে ঋণের আবেদন করা হলেও অনেক ক্ষেত্রে ঋণ মিলছে না বলে তাদের অভিযোগ।
সম্প্রতি ভারতের এইচডিএফসি ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সুমন্ত রামপাল ইকোনমিক টাইমসকে বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই হয় কি, এই ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক ক্ষেত্রে শেষ মুহূর্তে ছোটাছুটি করে। এতে সময় নষ্ট হয়। এদেরও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে তৈরি হয় প্রশ্ন। অনেকেই চাহিদা পূরণ করতে পারে না। ফলে শেষমেশ ব্যাংকঋণ পাওয়াও সম্ভব হয় না তাদের।