শনিবার (২৭ মার্চ) ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ভার্চুয়ালি এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন। এ সময় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন এবং বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
ডাক অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক সংগঠনগুলো এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে। বছরব্যাপী পর্যায়ক্রমে দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ ডাকঘরে এমন প্রদর্শনী করা হবে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিটগুলোকে অতি গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক সম্পদ আখ্যায়িত করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডাকটিকিটকে বাণিজ্যিক উপাদান হিসেবে দেখি না। ডাকটিকিট ইতিহাসের সাক্ষী। এটি ব্যক্তি দেশ, জাতি, যুগ ও সভ্যতার প্রকাশ ঘটায়। আমাদের ডাকটিকিট বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের জীবন-জীবিকার ইতিহাস-ঐতিহ্য প্রকাশ করছে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুর ওপর প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট থেকে তার সম্পর্কে সহজে জানতে পারবে।’
তিনি বলেন, ‘মুজিবনগর সরকার প্রকাশিত স্মারক ডাকটিকিট স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় অস্তিত্ব প্রকাশে অবিস্মরণীয় ভূমিকা রেখেছে। একাত্তরের ২৯ জুলাই মুজিবনগর সরকার এবং যুক্তরাজ্যের হাউজ অব কমন্স থেকে প্রকাশিত আটটি স্মারক ডাকটিকিট বিশ্বে আমাদের জাতিসত্তা, রাষ্ট্র ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতিফলন ঘটিয়েছে।’