গত জানুয়ারিতে থাইম থেকে বানানো ক্যারভ্যাটিভির নামে এক ওষুধের কথা বলেন মাদুরো। এই ‘অলৌকিক’ চিকিৎসা করোনাভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে বলে দাবি করেন তিনি। যদিও চিকিৎসকরা বলছেন, মাদুরোর এই দাবির পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই।
মাদুরোর একটি ভিডিও ফেসবুক সরিয়ে নিয়েছে যেখানে তিনি এই ওষুধের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, এই ওষুধ ‘এমন কিছু যা করোনাভাইরাস প্রতিরোধের নিশ্চয়তা দেয় অথবা করোনাভাইরাস নিরাময়ের নিশ্চয়তা দেয়।’
ফেসবুকের মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেন, ‘আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতি অনুসরণ করছি যাতে বলা হয়েছে, এ মুহূর্তে করোনাভাইরাস প্রতিকারের কোনো ওষুধ নেই। আমাদের নীতিমালা বারবার ভঙ্গ করার কারণে আমরা পেজটি ৩০ দিনের জন্য স্থগিত করে রেখেছি। এ সময়ে এটি শুধু পড়া যাবে।’
তবে মাদুররোর ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্ট ফেসবুকের এই পদক্ষেপের আওতায় পড়বে না।
এ বিষয়ে ভেনেজুয়েলার তথ্য মন্ত্রণালয় তাৎক্ষনিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
গত ফেব্রুয়ারিরে মাদুরো অভিযোগ করেন, ক্যারভ্যাটিভির দেখানো ভিডিওগুলো ফেসবুক সেন্সর করেছে। এর আগে মাদুরো ও তার সহযোগীরা অভিযোগ করেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের কোম্পানিগুলো তাদের সঙ্গে অন্যায় আচরণ করছে। তাদের বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট ‘ইচ্ছামত’ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।
মাদুরো ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম নিয়মিতভাবেই ব্যবহার করেন। ফেসবুক লাইভেও তার ভাষণ প্রচারিত হয়েছে।