দেশটির ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশন সোমবার (৩০ মার্চ) কানাডার প্রদেশগুলোতে চলমান টিকাদান কার্যক্রমে ৫৫ বছরের কম বয়সীদের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা না দেয়ার পরামর্শ দেয়।
কুইবেক, ব্রিটিশ কলম্বিয়া, আলবার্টা, সাস্কাচেওয়ান, ম্যানিটোবা, অন্টারিও এবং নিউফাউন্ডারল্যান্ড ও ল্যাব্রাডর প্রদেশ কর্তৃপক্ষ সোমবার থেকে ৫৫ বছরের কম বয়সীদের এই টিকা দেয়া স্থগিত করে। তবে কানাডায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেয়া কারও শরীরে এখনো রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা যায়নি।
ন্যাশনাল অ্যাডভাইজরি কমিটি অন ইমিউনাইজেশনের ভাইস চেয়ার ড. শেল্লে ডিকস বলেন, ৫৫ বছরের কম বয়সীদের বেলায় অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিড-১৯ টিকা দিয়ে উপকার পাওয়ার ক্ষেত্রে একটা পর্যায়ে উল্লেখযোগ্য অনিশ্চয়তা রয়েছে। আগে মনে করা হচ্ছিল দশ লাখে একজনের রক্ত জমাট বাঁধার আশঙ্কা রয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে, লাখে একজনের এমন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ইউরোপ থেকে পাওয়া এমন তথ্যের ভিত্তিতে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
কানাডার সবচেয়ে জনবহুল প্রদেশ অন্টারিওতে আগে থেকেই ৬০ বছর বা তার বেশি বয়সীদের এই টিকা দেয়া হচ্ছে। সেখানকার ৬৩ বছর বয়সী মার্ক মেন্ডেলসন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, দুই সপ্তাহ আগে প্রথম ডোজ নিয়েছেন। কিছুদিন পর দ্বিতীয় ডোজ নেবেন তিনি। হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচার করা হয়েছিল তার।
উল্লেখ্য, কানাডায় নতুন করে করোনার প্রকোপ বেড়ে চলেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আবারও নতুন করে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ বিধি-নিষেধ মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন।
গতবছর কানাডায় সর্বপ্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয় ব্রিটিশ কলম্বিয়াতে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ লাখ ৭৬ হাজার ৫ ৯৮ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ২২ হাজার ৯২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ লাখ ৭ হাজার ২৭৭ জন।