বুধবার (৩১ মার্চ) দেশটির কৃষি নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণকারী সরকারি সংস্থা রোসেলখোদনাদজর এই তথ্য জানিয়েছে।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এমনটি জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রোসেলখোদনাদজরের একদল গবেষক কার্নিভ্যাক-কোভ নামের এই টিকাটি তৈরি করেছেন। গবেষকদলের অন্যতম সদস্য ও রোসেলখোদনাদজরের উপপ্রধান কনস্তানতিন সাভেনকভ বলেন, ‘গত অক্টোবর থেকে কার্নিভ্যাক-কোভের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ট্রায়াল পর্যায়ে কুকুর, বেড়াল, মেরু শেয়াল, মিঙ্ক(একপ্রকার বেজি) খেঁকশেয়ালসহ বিভিন্ন প্রাণীর দেহে এই টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে।’
‘পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, প্রাণীদেহে এই টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং কার্যকর প্রতিরোধী প্রোটিন গড়ে তুলতে সক্ষম। শতকরা ১০০ভাগ ক্ষেত্রে এই চিত্র দেখা গেছে।’
তবে এই প্রতিরোধী শক্তির মেয়াদ থাকে ছয় মাস। এর স্থায়িত্ব বাড়াতে গবেষকদল কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে রোসেলখোদনাদজর। এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে কার্নিভ্যাক-কোভের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে বলেও জানানো হয়েছে সংস্থাটির পক্ষ থেকে।
এ পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরে প্রস্তুতকৃত তিনটি করোনা টিকার অনুমোদন দিয়েছে রাশিয়ার স্বাস্থ্য বিভাগ। তিনটিই মানবদেহে ব্যবহারের জন্য। এই টিকাগুলো হলো হলো গামালিয়া ইন্সটিটিউটের তৈরি করোনা টিকা ‘স্পুটনিক-৫’, সাইবেরিয়ার ভিক্টর ইন্সটিটিউটের ‘এপিভ্যাককরোনা’ এবং শুমাকভ সেন্টারের তৈরি ‘কোভিভ্যাক’। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি টিকা নিয়ে।