আমানতকারীদের স্বার্থরক্ষা এবং দেশের অর্থনৈতিক পরিকাঠামোকে মজবুত করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। এই মুহূর্তে রিজার্ভ ব্যাংকের হাতেই ইয়েস ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। গত সপ্তাহেই ইয়েস ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙ্গে দেয় তারা। যার পর আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত গ্রাহকদের টাকা তোলা ঊর্ধ্বসীমা ৫০ হাজারে বেঁধে দেওয়া হয়। তবে আগামী তিন দিনের মধ্যেই এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি মিলবে বলে জানিয়েছেন সীতারামণ। এ নিয়ে খুব শীঘ্র বিজ্ঞপ্তি জারি করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ইয়েস ব্যাংককে ঘুরিয়ে দাঁড় করাতে অন্যান্য বিনিয়োগকারীদেরও এগিয়ে আসতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। সরকারি সূত্রে খবর, আইসিআইসিআই ব্যাংকের তরফেও ইয়েস ব্যাংকের ৫ শতাংশ শেয়ার কিনে নেওয়া হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তাদের বিনিয়োগের অঙ্ক দাঁড়াবে ১০০০ কোটি টাকা। এ্যাক্সিস ব্যাংকের তরফেও ইয়েস ব্যাংকে ৬০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এইচডিএফসি এবং কোটাক মহিন্দ্রার তরফে যথাক্রমে ১০০০ এবং ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হতে পারে।
তবে সীতারামন জানান, টাকা বিনিয়োগের পর আগামী তিন বছর বিনিয়োগের ২৬ শতাংশ টাকা তুলতে পারবে না এসবিআই। অন্য বিনিয়োগকারীদের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম প্রযোজ্য, তবে সে ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ টাকা তুলতে পারবে না তারা। ইয়েস ব্যাংকের জন্য যে নতুন বোর্ড গঠন করা হবে, তাতে এসবিআই থেকে দুই প্রতিনিধি থাকবেন। বিজ্ঞপ্তি জারির সাত দিনের মধ্যে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন তাঁরা। সূত্র-আনন্দবাজার ও এনডিটিভি