হেবাই প্রদেশের শিল্পকেন্দ্র হিসেবে খ্যাত কুইয়ান। চীনের ইস্পাত পণ্যের ১০ শতাংশই এখানে উৎপাদন হয় এবং বৈশ্বিক রপ্তানির জন্যও এ শহরটি গুরুত্বপূর্ণ। শহরটিতে বর্তমানে কয়লা ও আকরিক লোহা নিয়ে ট্রাক প্রবেশ করছে এবং ইস্পাত পণ্য নিয়ে বেরিয়ে আসছে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ অঞ্চলের শিল্প-কারখানার উৎপাদন যদি দ্রুত বাড়ে একই সঙ্গে চীন সরকার করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয় তবে আবারও ঘুরে দাঁড়াবে অর্থনীতি। জানুয়ারি মাসে চীনের শিল্প-কারখানার উৎপাদনে যে ধস নেমে আসে তা কাটিয়ে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার ঘটবে।
চীন সরকার কুইয়ান শহরে শিল্পকর্মকাণ্ড বাড়ানোর যে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে তা বুমেরাংও হয়ে উঠতে পারে। কারণ কারখানায় স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড শুরু হলে শ্রমিক যাতায়াত বেড়ে তা আবারও করোনা সংক্রমণ ঘটাতে পারে। ফলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের চেয়ে বড় ধরনের বিপর্যয়ের দিকে যাবে।
সিএনএন বিজনেসের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, করোনাভাইরাস চীনের অর্থনীতিকে সংকোচনের মুখে ফেলে দিতে পারে, যা ১৯৭০ সালের পর আর ঘটেনি। ফেব্রুয়ারি মাসে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাপকভাবে কমেছে। চীনের মিডিয়া গ্রুপ কেইসিন জানায়, গত ফেব্রুয়ারিতে শিল্প খাতে পারচেজিং ম্যানেজার্স ইনডেক্স কমে হয় ২৬.৫ পয়েন্ট। যেখানে এক মাস আগেও এ সূচক ছিল ৫১.৮ পয়েন্ট। ৫০-এর নিচে পয়েন্ট থাকলে সংকোচন বোঝায়, ফলে বর্তমান সূচক মারাত্মক সংকোচনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যা ২০০৫ সালে এ জরিপ শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বনিম্ন পয়েন্ট। গত ফেব্রুয়ারি মাস ছিল চীনের কারখানাগুলোর জন্য সবচেয়ে খারাপ সময়।