বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নিফটি বেলা ১২ টার পর ১৪ হাজার ৯৩৪ -এ পৌঁছয়। এটা বাজারের ক্ষেত্রে ভালো লক্ষণ বলেই শেয়ার বিশেষজ্ঞরা বলছেন। তবে লাভের আশায় এখন শেয়ার বিনিয়োগ করা যেতেই পারে, বিশেষজ্ঞরা সেই পরামর্শও দিচ্ছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অবস্থায় শেয়ার কিনবেন, তবে সেটা ভাবনা চিন্তা করে। করোও হাতে যদি ১০০ টাকা থাকে তাহলে তার উচিত ২৫ টাকার শেয়ার কিনে ৭৫ টাকা হাতে রেখে দেওয়া। বাজার এখন ঊর্ধ্বমুখী। তাই এখন ব্লু চিপ শেয়ার কেনার দিকে বেশি জোর দিতে হবে। শেয়ার কিনতে হবে বাজারের অবস্থা দেখে। কারণ এখন শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বলে সেটা যে আচমকা নেমে যাবে না তার গ্যারান্টি কেউ দিতে পারেন না।
সার্বিকভাবে বাঙালি অনেকদিন ধরেই শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। এর অন্যতম কারণ তাৎক্ষণিক লাভের আশা। তবে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো যেভাবে সুদের হার কমিয়ে দিচ্ছে তাতে মানুষ শেয়ার বাজারে টাকা বিনিয়োগে আগ্রহী হয়ে পড়ছেন। কারণ তাঁরা ভাবছেন ব্যাংকে টাকা গচ্ছিত রেখে তাঁদের যে সুদটা মার গেছে শেয়ার বাজারে টাকা খাটিয়ে সেই টাকাটা যদি তুলে নেওয়া যায়। তবে এর সবটাই নির্ভর করছে কিছু হিসেবের ওপর। কেননা বিনিয়োগ করার সময় প্রথমেই দেখতে হবে কোথায় বিনিয়োগ করছি। যেখানে বিনিয়োগ করছি সেই সংস্থার বিগত সময়ে লাভের পরিমাণ কী ছিল। তাই বিশেষ করে ব্যাঙ্ক, ওএনজিসি, তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় বিনিয়োগ করা লাভজনক হবে। এটা শেয়ার বিশেষজ্ঞদের অভিমত। এই ধরণের সারিগুলোকেই blue chip শেয়ার কিনতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। এখানে বিনিয়োগ করলে লাভের সম্ভাবনা বেশি থেকে যায়।
তাই বাজার ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে বলেই শেয়ার বাজারে ইচ্ছা মতো টাকা বিনিয়োগ করে দিলেন এই ভুলটি করবেন না। কারণ শেয়ার বাজারের চরিত্র সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো। তাই সমুদ্রে যেমন ঢেউ মেপে চলতে হয়, শেয়ার বাজারেও তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে বিনিয়োগ করতে হয়। সেটা মাথায় রয়েছেই বিনিয়োগ করা ভালো।