গত ৭ এপ্রিল অর্থ বিভাগের উপসচিব তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, যেসব ব্যাংক স্বয়ংক্রিয় চালান পদ্ধতির ব্যবহার করে চালান গ্রহণ করবে, সেসব চালানের মোট অর্থের শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ হারে কমিশন প্রদানে অর্থ বিভাগের সম্মতি দেয়া হল। তবে এ কমিশন প্রদানের ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত দিয়েছে অর্থ বিভাগ।
শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে, কমিশন প্রদানের লক্ষ্যে ‘১০৯০১০১-সচিবালয়, অর্থ বিভাগ’ এর অীধনে বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় ‘স্বয়ংক্রিয় চালানের অর্থ জমাকরণ বাবদ কমিশন’ শীর্ষক অপারেশনাল কোড খোলা হবে। ওই অপারেশনাল কোডের অধীনে ‘৩২২১১১০-কমিশন’ নামক অর্থনৈতিক খাতের অনুকূলে এ বাবদ প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
স্থানীয় তফসিল ব্যাংকগুলো গৃহীত চালানের মোট অর্থের উপর শূন্য দশমিক ১০ শতাংশ হারে কমিশন প্রাপ্য চাহিদা মাসিক বা ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রেরণ করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক যাচাইবাছায় করে অর্থ মন্ত্রণালয়ে এ প্রাপ্য চাহিদা পাঠাবে। অর্থবিভাগ ‘৩২২১১১০-কমিশন’ খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে চাহিদা অনুযায়ী অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে প্রদান করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রাপ্ত অর্থ ব্যাংকগুলোর মধ্যে বণ্টন করবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমে জানান, ‘চালান প্রদানের ক্ষেত্রে হয়রানি কমাতে এ সিদ্ধান্তটি ব্যাপক ভূমিকা রাখবে। আগে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ দুই-একটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাংকে চালান জমা দেয়া যেতো। আর ব্যংকগুলো যেহেতু সেবা দেবে, তাদেরকে তো সেবামূল্য দিতেই হবে। এজন্যই কমিশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
চিঠিতে আরও বলা হয়, কোনো চালানে ভুল হলে অথবা চালান বাতিল করার বিষয়ে হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে গৃহীত বর্তমান পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। ব্যাংকগুলোকে স্বয়ংক্রিয় চালানের মাধ্যমে গৃহীত সমুদয় অর্থ একই দিনে (অন ডে) সরকারি হিসাবে জমা করতে হবে।
এর আগে গত অক্টেবরে অনলাইনে চালান জমা দেয়ার পদ্ধতি চালু করা হয়। ওই সময় জানানো হয়, অনলাইন পদ্ধতির প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পাশাপাশি ঢাকা মহানগরের সোনালী ব্যাংক, রূপালী, অগ্রণী ও জনতা ব্যাংকের সব শাখার মাধ্যমে চালানের অর্থ দেয়া যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশ ব্যাংকের নয়টি শাখা এবং সোনালী ব্যাংকের ১ হাজার ২২৪ শাখা ট্রেজারি চালান নিয়ে থাকে।