রোববার (১১ এপ্রিল) এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২ এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারার (১) ক্ষমতা বলে সরকার ৩০ জুন ২০১৯ সালে জারি করা প্রজ্ঞাপন এসআরও নম্বর ২৩৯-আইন/২০১৯/৭৫ মূসকের সংশোধন করে প্রজ্ঞাপন অনুসারে কোনো নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পামঅয়েল তেলের ওপর ৪ শতাংশ অগ্রিম কর প্রত্যাহার করা হলো।
এর আগে ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে প্রস্তাবনাসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনবিআরের মধ্যে কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে অপরিশোধিত সয়াবিন ও পামতেল আমদানিতে আরোপিত কর ও ভ্যাট যৌক্তিক হারে নির্ধারণের জন্য এনবিআরকে অনুরোধ করা হয়।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য বিপণন ও পরিবেশকবিষয়ক জাতীয় কমিটির সভা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী, প্রতি লিটার ভোজ্যতেলের মূল্যের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ করার ঘোষণা দেন।
ঘোষণা অনুযায়ী, প্রতি লিটার সয়াবিন (খোলা) মিলগেটে ১০৭ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১১০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১১৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিলিটার বোতলজাত সয়াবিন মিলগেট মূল্য ১২৩ টাকা, পরিবেশক মূল্য ১২৭ টাকা এবং খুচরা মূল্য ১৩৫ টাকা বিক্রি করার কথা। এছাড়া পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিনের মিলগেটে মূল্য ৫৮৫ টাকা, পরিবেশক মূল্য ৬০০ টাকা এবং খুচরা মূল্য ৬২৫ টাকা।