বিষয়টি নিশ্চত করেছেন ফরিদা পারভীনের ছেলে ইমাম জাফর।
শনিবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে তিনি জানান, ‘কয়েক দিন ধরেই অসুস্থ বোধ করছিলেন আম্মা। গত ৭ এপ্রিল তার করোনা টেস্ট করা হয়। ৮ এপ্রিল করোনা পজিটিভ রিপোর্টে পাই আমরা। বর্তমানে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী বিশেষ তত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছে৷’
সবার কাছে মায়ের সুস্থতার জন্য দোয়া চেয়েছেন ইমাম।
ফরিদা পারভীনকে বলা হয় লালন কন্যা৷ লালন ফকিরের গান গেয়ে তিনি দেশে বিদেশে খ্যাতি পেয়েছেন৷ তবে ক্লাসিক ও আধুনিক গানেও তিনি নন্দিত গায়িকা।
১৯৫৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নাটোর জেলার সিংড়া থানার শাওল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফরিদা পারভীন।
জন্ম নাটোরে হলেও বড় হয়েছেন কুষ্টিয়ায়। ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুল সংগীত গাইতে শুরু করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৩ সালের দিকে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। সাধক মোকসেদ আলী শাহের কাছে ফরিদা পারভীন লালনসংগীতে তালিম নেন।
১৯৮৭ সালে ফরিদা পারভীন সংগীতাঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক অর্জন। এছাড়া ২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। সেরা প্লে-ব্যাক গায়িকা হিসেবে তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও পেয়েছেন ১৯৯৩ সালে।
শিশুদের লালনসংগীতে দীক্ষা দেওয়ার জন্যে ‘অচিন পাখি স্কুল’ নামে একটি স্কুল গড়ে তোলেছেন তিনি।