সোমবার (১২ এপ্রিল) সংস্থাটি জানিয়েছে, এখন ভাইরাসটির বিস্তার বাড়ছে অতিদ্রুত। ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে প্রমাণিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
ডব্লিওএইচও আরও জানায়, এ বছরের শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেকটা কমে আসে। কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা মহামারি পরিস্থিতির নাটকীয় অবনতি হতে শুরু করেছে। বিষয়টি উদ্বেগের।
ডব্লিউএইচও’র টেকিনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান কেরখোভে সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমরা এখন মহামারির এক গুরুতর পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। করোনার বিস্তারের গতি এখন বাড়ছেই। সংক্রমণ পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বিপদজনক মাত্রায় দ্রুতগতিতে।’
বৈশ্বিক পর্যায়ের এক বৈঠকে সতর্ক বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেদ্রোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুসও বলেছেন, ‘টানা গত সাত সপ্তাহ ধরে করোনায় আক্রান্ত এবং টানা চার সপ্তাহ ধরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই।’
গেল সপ্তাহে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর সাপ্তাহিক হিসেবে চতুর্থ সর্বাধিক করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে বিশ্বে। ডব্লিউএইচও’র টেকিনিক্যাল হেড মারিয়া ভ্যান জানিয়েছেন, ‘গত সপ্তাহে বিশ্বজুড়ে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা নয় শতাংশ এবং মৃত্যু বেড়েছে পাঁচ শতাংশ।’
বেশিরভাগ দেশেই করোনার টিকাদান কর্মসূচি জোরালো করা সত্ত্বেও এভাবে ভাইরাসটির বিস্তার বাড়ছে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৭৮ কোটি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে টিকা গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্ত্র হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেদ্রোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস এই একটি অস্ত্র ছাড়াও বিশ্ববাসীকে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন।
ডব্লিউএইচও প্রধান এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘শারীরিক দূরত্ব কাজ করে। কাজে আসে মাস্ক পরাটাও। হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধিও খুব গুরুত্বপূর্ণ। বায়ুচলাচল, নজরদারি, পরীক্ষা, কনট্যাক্ট ট্রেসিং, আইসোলেশন এবং কোয়ারেন্টাইনের মতো বিষয়গুলোর প্রতি আমাদের গুরত্ব দিতে হবে।’
টেদ্রোস আধানম সতর্ক করে বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিদ্যমান বিভ্রান্তি, আত্মতুষ্টি ও অসঙ্গতি এবং তার প্রয়োগের মতো বিষয়গুলোর কারণে করোনার সংক্রমণ সামনে আরও বাড়বে। আর এতে করে আরও অনেক মানুষের মৃত্যুর মাধ্যমে এর মূল্য দিতে হবে আমাদের।’