বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) রাজধানীর সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সর্বাত্মক লকডাউনে ব্যাংক বন্ধ থাকবে এমন শঙ্কায় আগেই টাকা উত্তোলন করেছেন গ্রাহকরা। তাছাড়া কোভিড-১৯ ভীতি ও মুভমেন্ট পাসের ঝামেলা এড়াতে সাধারণ গ্রাহক ব্যাংকমুখী হচ্ছেন না।
সোনালী ব্যাংক মতিঝিল শাখার ডেপুটি ম্যানেজার মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘লকডাউনের সিদ্ধান্ত গত সপ্তাহে হয়, সে হিসেবে যে যার মতো লেনদেন করেন। যাদের খুব ইমার্জেন্সি তারা আসবে তবে অন্যদিনের তুলনায় খুবই কম। অন্যদিনের মতো সব সেবা দেয়া হচ্ছে আজ পূর্ণ জনবল আছে সে তুলনায় গ্রাহক নেই।’
এদিকে একই অবস্থা দেখা গেছে ব্যাংকের এটিএম বুথগুলোতেও। মোবাইলভিত্তিক লেনদেন ছোট দোকানগুলোর অধিকাংশ বন্ধ রয়েছে।
এর আগে লকডাউনে বিধিনিষেধের মধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। নির্দেশনার আলোকে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জারি করা সার্কুলারে বলা হয়, ‘সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ব্যাংক লেনদেন চলবে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত। তবে অন্যান্য আনুষঙ্গিক কার্যাবলী সম্পন্ন করার জন্য ব্যাংক খোলা থাকবে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত।’