শনিবার (১৭ এপ্রিল) ভারতীয় সাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে ২ লাখ ৩৪ হাজার জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। একই দিন মারা গেছে এক হাজার ৩৪১ জন। আক্রান্তের মোট সংখ্যা ইতোমধ্যে এক কোটি ৪৫ লাখ ছাড়িয়েছে। আর মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৭৫ হাজার।
করোনা বিধিনিষেধ লঙ্ঘন করে গত মাস থেকে নির্বাচনী প্রচারণা চলছে পশ্চিমবঙ্গে। চলতি মাসে হরিদ্বারে শুরু হয় কুম্ভমেলা। গত ১২ এপ্রিল থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে প্রায় ৪৮ লাথ ৫১ হাজার ভক্ত পূন্যস্নান করছেন। সেই সময় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করতে দেখা যায়নি অধিকাংশকেই। হরিদ্বার সংলগ্ন এলাকায় ১০ থেকে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৭০০ জন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখান থেকে ভারতের বিভিন্ন স্থানে সংক্রমণ বড় আকারে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
শনিবার এনডিটিভি অনলাইন জানিয়েছে, চলতি মাসে ২০ লাখের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শনিবার জানিয়েছেন, রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৪ হাজার জন।
কয়েকদিন আগেই দিল্লির হাসপাতালগুলোতে বেডের অপ্রতুলতার খবর সামনে আসে। সেখানে একই বেডে দুই রোগীর চিকিৎসা হতে দেখা যায়। এমন করুণ পরিস্থিতির মাঝে অরবিন্দ কেজরিওয়াল সাফ জানান দিল্লিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে মেডিকেল অক্সিজেন নেই।
কেজরিওয়াল বলেছেন, ‘পরিস্থিতি গুরুতর ও ভয়ংকর। সংক্রমণের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।’
শুধু দিল্লিই নয়, মহারাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী। মোট সংক্রমণের হিসেবে ভারত ইতোমধ্যে ব্রাজিলকে টপকে গেছে। তালিকার শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের দৈনিক সংক্রমণ এখন লাখের নিচে নেমে এসেছে।