রোববার (১৮ এপ্রিল) বিদ্রোহীরা রাজধানীতে পা রাখলে এমন নির্দেশ দেওয়া হয়।
আফ্রিকান দেশটির আগাম নির্বাচনের ফলে দেখা গেছে, প্রেসিডেন্ট ইদরিস দেবি তার তিন দশকের ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ানোর পথে রয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচনে তিনি ফের জয়ী হতে যাচ্ছেন।
অনুর্বর সাহিল অঞ্চলে ইসলামী যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ফ্রান্স ও যুক্তরাষ্ট্রের গোড়া মিত্র ইদরিস ১৯৯০ সালে ক্ষমতা দখল করেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বিদ্রোহীরা ক্রমাগত রাজধানী এনজামেনার নিকটবর্তী হওয়ায় ও শহরে সহিংসতার শঙ্কা থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের অপ্রয়োজনীয় সরকারি কর্মকর্তাদের বাণিজ্যিক বিমানযোগে চাদ ছেড়ে চলে যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবর রয়টার্সের।
এর আগে শনিবার ব্রিটিশ সরকারও তাদের নগরিকদের চাদ ছেড়ে চলে যেতে বলেছে। দেশটি বলছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠী চেঞ্জ অ্যান্ড কনকর্ড ইন চাদ (এফএসিটি) রাজধানীর দিকে এগিয়ে আসছে। একটি বহরকে মাও শহরের কাছাকাছি দেখা গেছে। রাজধানী থেকে শহরটি ২২০ কিলোমিটার দূরে।
রোববার সকালে রাজধানীর সড়কে নিরাপত্তা বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্যকে টহল দিতে দেখা গেছে। চাদ সেনাবাহিনী বলছে, শনিবার বিকালে উত্তর কানেম প্রদেশে বিদ্রোহীদের একটি বহর ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে।
সেনামুখপাত্র আজিম বেরমানদোয়া আগৌনা বলেন, বিদ্রোহী যোদ্ধাদের পুরো একটি দলকে হত্যা করা হয়েছে।
দেশের জাতীয় তেলসম্পদ ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্রমাগত অসন্তোষের মুখেও গত ১১ এপ্রিলের নির্বাচনে ইদরিস দেবিকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে। আফ্রিকায় সবচেয়ে বেশি দায়িত্ব পালন করা নেতাদের একজন তিনি।
ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকবার বিদ্রোহ দেখা দিলেও তিনি তা সফলভাবেই দমন করেছেন। এতে ফ্রান্সও তাকে সহায়তা করেছে।
২০১৯ সালে লিবিয়া থেকে একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হামলা মোকাবিলায় ফরাসি বিমান হামলার সহায়তা নিয়েছিল চাদ সেনাবাহিনী। লিবিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্তে এফএসিটি বিদ্রোহীদের ঘাঁটি।
১১ এপ্রিল ভোটগ্রহণ শেষের দিকে সীমান্তে চাদের চেকপোস্টে হামলা চালায় তারা।