রোববার (১৮ এপ্রিল) বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আগামীকাল সোমবার এ বিষয়ে সার্কুলার জারি করা হবে বলে ওই বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সীমিত পরিসরে বীমা কোম্পানির অফিস খুলে রাখার বিষয়ে গত ১৫ এপ্রিল বাংলাদেশ ইন্স্যুরেন্স এসোসিয়েশন (বিআইএ)’র পাঠানো একটি চিঠির প্রেক্ষিতে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইডিআরএ।
দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারের আদলে সকল বীমা কোম্পানির প্রধান কার্যালয়সহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শাখা স্বাস্থ্য বিধি মেনে সীমিত আকারে ও সীমিত সময়ের জন্য খোলার অনুমোদন চেয়েছে বিআইএ।
শনিবার কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র (যুগ্মসচিব) এস এম শাকিল আখতার গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, লকডাউনে বীমা অফিস বন্ধ থাকায় গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়তে পারে এবং আইনি জটিলতা তৈরি হতে পারে।
এ জন্য বীমা কোম্পানিগুলোর প্রধান কার্যালয়সহ বিভাগীয় গুরুত্বপূর্ণ অফিস সীমিত পরিসরে খোলার প্রয়োজন বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ। আজ রোববার কর্তৃপক্ষের বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান শাকিল আখতার।
তিনি আরো বলেন, ২১ এপ্রিল পর্যন্ত সরকার যে লকডাউন ঘোষণা করেছে আমরা সেটা পুরোপুরি মেনে চলার চেষ্টা করবো অর্থাৎ এই সময়ে অফিস খোলা হবে না। তবে এরপর যদি লকডাউনের সময় বৃদ্ধি করা হয় তাহলে বীমা কোম্পানিগুলোর কিছু কিছু অফিস সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সরকারের অনুমোদন নিয়ে খোলা রাখা হবে।
তিনি আরো বলেন, এই ৮ দিনের লকডাউনে বীমা কোম্পানির অফিস খোলা না হলেও গ্রাহকদের যাতে কোন ভোগান্তি বা আইনি জটিলতায় পড়তে না হয় সে জন্য প্রিমিয়াম জমা দেয়ার সময়সহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানো হবে। এমনকি গত বছরের লকডাউনে যেসব সুবিধা দেয়া হয়েছিল এবার তার চেয়ে বেশি সুবিধা রাখা হবে।