দিল্লিতে প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনে কারফিউ জারি করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও সংক্রমণ বেড়েই চলছে। রোববার শহরটিতে নতুন করে ২৪ হাজার ৪৬২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল সোমবার সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি সবসময় লকডাউনের বিপক্ষে ছিলাম, তবে এটি আমাদের দিল্লির হাসপাতালের বেড সংখ্যা বাড়িয়ে তুলতে সহায়তা করবে।’
তিনি দিল্লিতে অস্থায়ীভাবে বসবাসকারী শ্রমিকদের দিল্লি ত্যাগ না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন। গত বছর লকডাউনের সময় কর্মহীন হয়ে যাওয়ায় লাখ লাখ শ্রমিক গ্রামের বাড়ি ফিরে গিয়েছিল।
কেজরিওয়াল বলেন, এই সিদ্ধান্ত নেয়াটা কষ্টকর ছিল কিন্তু আমাদের কাছে আর কোনো উপায় নেই। তিনি বলেন, ‘আমি জানি যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন দিনমজুরেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন এবং তাদের কাজ হারান। কিন্তু তাদের আমি অনুরোধ জানাই, দিল্লি ত্যাগ করবেন না। এটি একটি স্বল্প সময়ের লকডাউন এবং আমরা আপনাদের দেখভাল করব।’
ভারতে ১৫ এপ্রিল থেকে দৈনিক সংক্রমণ সংখ্যা দুই লাখ ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত বছরের দৈনিক সর্বোচ্চ সংক্রমণের চেয়েও এটি বেশি। সেসময় দৈনিক গড় সংক্রমণ ছিল ৯৩ হাজার।
দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও অনেক বেড়ে গেছে দেশটিতে। রোববার করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৬২০ জন মারা গেছেন।