এর আগে শনিবার ১৮ রুশ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় চেক প্রজাতন্ত্র। তাদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। ২০১৪ সালে দেশটির একটি গোলাবারুদের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় রুশ গোয়েন্দা সংস্থা জড়িত থাকার অভিযোগে এ ব্যবস্থা নেয় দেশটি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে পাল্টা চেক কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় মস্কো।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও ন্যাটো জোটের সদস্য চেক প্রজাতন্ত্র জানিয়েছে, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় রাশিয়ার সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিত্রদের অবহিত করেছে। সোমবার এ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের কথা রয়েছে।
চেক প্রজাতন্ত্রের মাটিতে রাশিয়ার ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেওয়ায় দেশটিকে সাধুবাদ জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর। এ ঘটনাকে নজিরবিহীন ও অত্যন্ত কলঙ্কজনক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিস।
রাশিয়ার পক্ষ থেকে চেক প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে ভিত্তিহীন ও অযৌক্তিক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ওই বিস্ফোরণের ঘটনায় আগে গুদাম মালিকদের দোষারোপ করা হলেও এখন রাশিয়াকে দায়ী করা হচ্ছে। এ ধরনের দোষারোপ অযৌক্তিক।
এমন সময়ে এ ঘটনা ঘটলো যার কদিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ১০ কূটনীতিককে বহিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে মস্কো। মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ, সাইবার-হ্যাকিং, ইউক্রেনে নিপীড়নসহ বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে সম্প্রতি মস্কোর বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে মার্কিন কূটনীতিকদের বহিষ্কারের ঘোষণা দেয় রাশিয়া। এছাড়া বাইডেন প্রশাসনের আট কর্মকর্তার ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা জানান রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী। সূত্র: আল জাজিরা।